• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

শিক্ষককে কটুক্তি: বিচারের দাবিতে কর্মচারীর কুশপুত্তলিকাদাহ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) রিজেন্ট বোর্ড এর সদস্য,পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ অনুষদের ডীন ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাহিমা খানমকে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালিগালাজকারী গাড়ি চালক জাহাঙ্গীর আলমের বিচার দাবিতে অবস্থান,মানববন্ধন ও কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে সচেতন প্রতিবাদী নারীকন্ঠ। এ ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে বিচার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন অধ্যাপক ড.ফাহিমা খানম ।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে তারা এই কর্মসূচী পালন করেন । এ সময় শিক্ষার্থীরা গাড়ি চালক জাহাঙ্গীর আলমের কালোহাত ভেঙ্গে দাও-গুড়িয়ে দাও,জাহাঙ্গী আলমের দুই গালে জুতা মার তালে তালে ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী নারী,দেশের স্পীকার নারী সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সম্মানিত সিনিয়র শিক্ষক অধ্যাপক ড.ফাহিমা খানমকে সামান্য একজন গাড়ি চালক কিভাবে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালিগালাজ করা সাহস পায় । এর পিছনে কারা মদদ দাতা রয়েছে তাদেরকে আমরা দেখতে চাই। ঐ কর্মচারী শুধু একজন শিক্ষককেই অপমান করে নাই পুরো নারী সমাজকে অপমানিত করেছেন। যেখানে বর্তমান সরকার কর্মক্ষেত্রে নারীদের সর্বোচ্চ মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের উপর জোর দিয়ে যাচ্ছেন সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি জায়গায় থেকে একজন সিনিয়র নারী শিক্ষককে এভাবে লাঞ্ছিত হতে হবে আমরা তা কোনভাবেই মেনে নিতে পারবো না ।

বক্তারা আরো বলেন, আমরা অবাক হয়েছি এ ধরনের ন্যাক্কারজনক কাজ করার পরেও ঐ কর্মচারী  কিভাবে ক্যাম্পাসে আসা-যাওয়া করছে। আমরা তাকে আর এই ক্যাম্পাসে দেখতে চাই না,আমরা অতিদ্রুত তার বহিস্কার চাই। এ রকম কুলাঙ্গার কর্মচারীর ক্যাম্পাসে থাকার কোন অধিকার নাই। যেখানে একজন সিনিয়র শিক্ষক তার দ্বারা লাঞ্ছিত হয়েছেন সেখানে আমরা কিভাবে নিরাপদ থাকতে পারি। আমাদের নিরাপত্তা এবং ক্যাম্পাসের সুষ্ঠ পরিবেশ নিশ্চিত করার স্বার্থে তাকে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করা এখন সময়ের দাবি। শুধু বহিস্কারই নয় তাকে যেন এমন শাস্তি দেয়া হয় যেন পরবর্তীতে কেউ আর এ ধরনের কাজ করার সাহস না পায়।

মানববন্ধনে বক্তব্য প্রদান করেন, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক,অধ্যাপক রোজিনা ইয়াসমিন লাকী,সহকারী অধ্যাপক ডা মোছা সোগরা বানু জুলি, প্রভাষক মাহফুজা আক্তার পাপড়ী, নিশাত, অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী সুরাইয়া জেবিন সেজুতি,শামীমা সহ আরো অনেকে। মানবন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের কয়েক শতাধিক সচেতন নারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে।