• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে বেরোবির আবাসিক হলগুলোতে

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ অক্টোবর ২০১৯  

আবাসিক হলগুলোতে সোমবার শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় হল প্রশাসন। এতে অবৈধভাবে হলে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের উচ্ছেদসহ সিট বৈধকরণ করার কার্যক্রম চলছে।

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য আছে তিনটি আবাসিক হল। এসব হলে আসন রয়েছে ৮৮৯টি। ছেলেদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ৩০৭টি এবং শহীদ মুখতার ইলাহী হলে ২৪০টি সিট রয়েছে। মেয়েদের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ৩৪২টি সিট রয়েছে। 

হল প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে আবাসিক হলগুলোতে প্রথমবারের মতো শিক্ষার্থী ভর্তি করার পর ছাত্রদের দুই হলে আর কোনো শিক্ষার্থীকে সিট দেয়া সম্ভব হয়নি। ফলে সব সিট অনাবাসিক ও অছাত্রদের দখলে চলে যায়। 

বঙ্গবন্ধু হলে ৩০৭টি সিটের বিপরীতে আবাসিক ছাত্রের সংখ্যা মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ জন। বিগত প্রশাসনের সময় শিক্ষার্থীদের আবাসিকতা নিশ্চিত করার জন্য কোনো উদ্যোগ না নিলেও বর্তমান প্রশাসন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা ও নোটিশ প্রদান করে আসছিল। এতেও কোনো কাজ না হওয়ায় অর্থসংকটে পড়ে যায় আবাসিক হলগুলো। এতে করে সময়মত হল কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ করতে না পারাসহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়ে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য উপাচার্যের কঠোর নির্দেশনা ও হল প্রভোস্টের প্রচেষ্টায় অবৈধদের হল থেকে উচ্ছেদ ও অনাবাসিকদের আবাসিকতা প্রদানে এই অভিযান শুরু করেছে হল প্রশাসন।

এদিকে শহীদ মুখতার এলাহী হলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বর্তমানে ২৪০টি সিটের বিপরীতে বৈধভাবে অবস্থান করছেন ১১৪ জন শিক্ষার্থী। বাকি ১২৬টি সিট বৈধকরণের জন্য চলতি মাসের ২২-৩০ তারিখের মধ্যে আবাসিকতার ফরম পূরণ করে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ৩১ অক্টোবর সকালে ভাইভা এবং বিকেলে ফলাফল এবং ৩ ও ৪ নভেম্বর ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার কথা জানানো হয়।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির সদস্য সচিব তাবিউর রহমান প্রধান বলেন, বর্তমান প্রশাসন দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই হলে অবস্থানকারী অবৈধ ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বিষয়ে বারবার উদ্যোগ নেয়া হলেও কোনো কাজ হয়নি। কিন্তু এবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় হল প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। আশা করি অল্প সময়ের মধ্যেই হল গুলোতে সম্পূর্ণ আবাসিক শিক্ষার্থীদের বৈধভাবে থাকার সুযোগ করে দেয়া সম্ভব হবে। এরপরেও হলের শৃঙ্খলা বিনষ্ট করার জন্য যদি কেউ তৎপরতা চালানোর চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।