• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

শুভ জন্মদিন আহসান হাবীব

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ১৫ নভেম্বর ২০১৮  

আজ গুণী কার্টুনিস্ট, রম্য লেখক ও কার্টুন বিষয়ক ম্যাগাজিন উন্মাদ’র সম্পাদক আহসান হাবীব-এর ৬১তম জন্মদিন।

১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দের এই দিনে সিলেটে জন্মগ্রহন করেন আহসান হাবিব। পিতা ফয়জুর রহমান আহমদ এবং মা আয়েশা ফয়েজ। তার পিতা একজন পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন এবং তিনি ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে তৎকালীন পিরোজপুর মহকুমার এসডিপিও (ইংরেজী: SDPO - Sub-Divisional Police Officer) হিসেবে কর্তব্যরত অবস্থায় শহীদ হন।তিনি পত্র-পত্রিকায় লেখালিখি করতেন। বগুড়া থাকার সময় তিনি একটি গ্রন্থও প্রকাশ করেছিলেন। গ্রন্থের নাম 'দ্বীপ নেভা যার ঘরে'। তার মায়ের লেখালিখির অভ্যাস না-থাকলেও একটি আত্ম জীবনী গ্রন্থ রচনা করেছেন যার নাম 'জীবন যে রকম'। তাছাড়া তিনি 'বেগম' পত্রিকাসহ কিছু ডিটেকটিভ পত্রিকাতেও লিখালিখি করেছেন। আহসান হাবীব ছোটোবেলায় আটটি ভিন্ন স্কুলে পড়াশোনা করেছিলেন। তার ছেলেবেলার বেশিরভাগ সময়ই কাটে বগুড়া, চিটাগং, কুমিল্লা, পিরোজপুর, দিনাজপুর, মোহনগঞ্জ সহ আরও কিছু জায়গায়। তার ডাক নাম শাহীন। নাম ঠিক করার সময় বিজ্ঞানী কুদরাত-এ-খুদার নাম অনুসারে আহসান হাবীবের ভালো নাম রাখা হয়েছিল কুদরতে খোদা। পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে রাখা হলো ইবনে ফয়েজ মুহম্মদ আহসান হাবীব। পরে তা শুধু আহসান হাবীব হয়ে গেল! আহসান হাবীব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভূগোলে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী নিয়ে পাস করেন। পাস করার পর থেকে তিন দশক ধরে তিনি উন্মাদের সাথে জড়িত আছেন। শিক্ষার্থী থেকে কর্মজীবনে পা দেয়ার পর উন্মাদের অন্য কর্মীদের মতো আহসান হাবীবও ব্যাংকে যোগ দেন। তবে বেশিদিন মন টিকেনি ব্যাংকের চাকরিতে। পরবর্তীতে তিনিই প্রথমে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, এবং পরে পুরোদস্তর সম্পাদকের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন। তাছাড়া তিনি বর্তমানে "International Journal Of Comic Art" কার্টুন পত্রিকার বাংলাদেশি ইডিটরের দায়িত্বও পালন করছেন এছাড়া আহসান হাবীব ও হাসান খুরশিদ রুমি ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশের প্রথম বিজ্ঞান কল্পকাহিনী ম্যাগাজিন পত্রিকা মৌলিক প্রকাশ করেন। তবে ম্যাগজিনটি তিন বছরের মাথায় বন্ধ হয়ে যায়।

২০১৫ সালে তিনি প্রভাষক হিসেবে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এর মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি বিভাগে যোগদান করেন। তার পড়ানোর বিষয়বস্তু গ্রাফিক নোভেল।

জোকস্‌, রম্যরচনা, গল্প, উপন্যাস, শিশুসাহিত্য, সায়েন্সফিকশন-এ সবই তার লেখার বিষয়।

গুণী এ শিল্পীর জন্মদিনে ডেইলি বাংলাদেশ’র পক্ষ থেকে রইল অনেক অনেক শুভকামনা।