• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনে বিচারক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হলো না ফাতেমার

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৮ নভেম্বর ২০১৯  

মা আমাকে নিয়ে যাও, নইলে ওরা মেরে ফেলবে। আমি পরীক্ষা দেব, ওরা পরীক্ষা দিতে দেবে না। ওরা আমাকে তিন বেলা খেতেও দিচ্ছে না। মৃত্যুর একদিন আগে মোবাইলে মায়ের সঙ্গে এভাবে কথাগুলো বলেছিলেন ফাতেমা।

ফাতেমার ইচ্ছে ছিল বড় ভাইয়ের মতো আইন বিষয়ে পড়াশোনা করে বিচারক হওয়ার। কিন্তু সেই স্বপ্ন পূরণ অধরাই থেকে গেল। মেয়ের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না মা।

হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার দক্ষিণ দিঘলকান্দি গ্রামে। ফাতেমার মরদেহ দেখে কেউ মেনে নিতে পারছে না, এটি হত্যা না আত্মহত্যা। নিহত ফাতেমা উপজেলার দিঘলকান্দি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদের মেয়ে।

নিহতের বড় ভাই হামিদুর রহমান জানান, পার্শ্ববর্তী দক্ষিণ দিঘলকান্দি গ্রামের সুরাহকের ছেলে আব্দুল মমিনের সঙ্গে মোবাইলে পরিচয়ের পর প্রেম হয় ফাতেমার। পরে তাদের বিয়ে হয়। দেড় মাসের সংসার জীবনে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন শুরু করে স্বামী, শাশুড়িসহ পরিবারের অনেকে। ঘটনার একদিন আগে মঙ্গলবার শ্বশুরবাড়ির নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে ফাতেমা তার মাকে ফোন করলে বড় বোন ছালমা ওই বাড়িতে যান। বড় বোনের সামনে ফাতেমার স্বামী তাকে মারধর করেন।

তিনি আরো জানান, এ দৃশ্য দেখে বোন তাড়াতাড়ি বাড়িতে চলে এসে পরিবারের সবাইকে জানান। পরে সালিশের জন্য সময় ঠিক করলেও পরদিন মেয়েকে স্বামীর শয়নকক্ষের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো মরদেহ দেখতে পান বাবা।

সাঘাটা থানার ওসি বেলাল হোসেন জানান, বুধবার ফাতেমার মরদেহ উদ্ধার করে গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর ও দাফন করা হয়। নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।