• মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

সামাজিক মাধ্যমে গুজব প্রতিহত করবেন যেভাবে

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০১৯  

বাংলাদেশে এখন সব থেকে বেশি গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে মানুষের মধ্যে আতংক বাড়ছে। ঘরের বাইরে নিজেদেরকে নিরাপদ ভাবতেও দ্বিধায় পড়তে হচ্ছে সবাইকে। আর এই গুজব ছড়ানোর বড় মাধ্যম হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
বেশ কিছুদিন থেকেই ফেসবুক পাতা জুড়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজের জন্য মানুষের মাথা লাগবে এমন ভুয়া খবর ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে সম্প্রতি বেশ কয়েকটি গণপিটুনির ঘটনা ঘটে বাংলাদেশে। কিন্তু এরকম একটি বানোয়াট পোস্ট এতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার জন্য অনেকাংশেই যোগাযোগ মাধ্যম দায়ি। কারণ এ যোগাযোগ মাধ্যমের জন্যই মানুষের মধ্যে বিশ্বাস স্থাপন বেশি সহজ হয়।

এ ধরণের গুজব শুধু বাংলাদেশে ছড়াচ্ছে তা না। ভারত জুড়ে ছেলেধরা গুজবকে কেন্দ্র করে গত তিন মাসে ১৭ জন গণপিটুনিতে নিহত হয়েছেন। এই গুজবগুলো মূলত ছড়িয়েছিল হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে। পড়ে এই অ্যাপের কয়েকটি পরিবর্তন আনায়, তা গুজব নিয়ন্ত্রণে বড় ধরণের ভূমিকা রাখে।


 
এদিকে বাংলাদেশে হোয়াটস অ্যাপ তেমন একটা জনপ্রিয় না হলেও ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি ফেসবুক আইডি, ইউটিউব লিংক ও অনলাইন পোর্টাল বন্ধ করার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক জাভেদ পাটোয়ারি।

আইটি বিশেষজ্ঞ মিনহার মোহসিন ডেইলি বাংলাদেশকে জানান, তিনটি উপায়ে সহজেই এ ধরণের গুজবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।

> প্রথমটি হচ্ছে, গুজবগুলো সাধারণত ফেসবুক নিউজ ফিডে আর ইনবক্সের মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এখন যারা এসব জায়গায় পোস্ট শেয়ার করে, তারা হয়তো ম্যানুয়ালি ঘণ্টায় ১০ হাজার মানুষের কাছে একটা মেসেজ পাঠাতে পারছে। এখন সেম পোস্টের কাউন্টার পোস্ট আমরা ভাইরাল করতে পারি ডিজিটাল মার্কেটিং মেথড ব্যবহার করে। এর মাধ্যমে ঘণ্টায় ১ লাখ মানুষের কাছে পৌঁছানো অসম্ভব কিছু না। এর মাধ্যমে একটা ইনস্ট্যান্ট রেজাল্ট পাওয়া যায়।

> দুই নম্বর উপায় হচ্ছে এ ধরণের গুজবের পোস্ট দেখলেই সেটা নিয়ে স্ট্যাটাস না লিখে সঙ্গে সঙ্গে রিপোর্ট করে দেয়া। যখন অনেক মানুষ একসঙ্গে রিপোর্ট করবে তখন স্বাভাবিকভাবেই ফেসবুক একটা ব্যবস্থা নেবে।


 
> তৃতীয় উপায় হল প্রি ভাইরাল অ্যাওয়ারনেস। অর্থাত্‍ কোনটি গুজব আর কোন ধরণের পোস্ট শেয়ার করা যাবেনা। এই বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা খুব জরুরি।

অন্য সব পদক্ষেপ
> এমন গুজবে কান না দিতে সেতু নির্মাণ কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি একটি বিবৃতি প্রকাশের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। ব্রিজ নির্মাণে মানুষের মাথা প্রয়োজন হওয়ার বিষয়টি পুরোপুরি গুজব বলে সেখানে নিশ্চিত করা হয়েছে। এটি সবাইকে প্রচার করা।

> কোন কন্টেন্ট ম্যাস ফরোয়ার্ড করা বা গণহারে একসঙ্গে অনেক মানুষকে পাঠানো বন্ধ করা।

> কোন মেসেজ আপনার কাছে ফরোয়ার্ডেড হয়ে আসলে সেটা যিনি পাঠিয়েছেন, তিনি সেটা নিজে লিখেছেন নাকি অন্য কারো লেখা ফরোয়ার্ড করেছেন। তা জেনে নিন। এভাবে গুজব ছড়ানোর হার অনেকটাই কমে যাবে।

> এছাড়া ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম গুলো হাট-বাজার, বাস স্ট্যান্ড, লোকালয় বা জনসমাগম স্থানে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা চালায়।


 
> সন্দেহজনক ৬০টি ফেসবুক আইডি, ২৫টি ইউটিউব লিংক এবং ১০টি নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে দিয়েছে সরকার। এছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুজব রটনাকারী অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। তাই সতর্ক থাকুন, গুজব ছড়াবেন না।