• শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৭ ১৪৩১

  • || ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অন্যতম নকশাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শিব নারায়ণ দাস, আজ ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বন্যায় দুবাই এবং ওমানে বাংলাদেশীসহ ২১ জনের মৃত্যু। আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়ল জ্বালানি তেল ও স্বর্ণের দাম। ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

সারাদেশে শতভাগ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ চার বছরের মধ্যে: নসরুল

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০১৯  

সারাদেশে শতভাগ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

সোমবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে বিএনপি দলীয় হারুনুর রশীদের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে ৫০ বছর লেগেছে। আমাদের অতটা সময় লাগবে না। আমি কখনো বলিনি সারাদেশে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পেরেছি। তবে আমরা ৩ থেকে ৪ বছরের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারবো।

বিএনপি আরেক এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজের প্রশ্নের জবাবে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে গ্রীষ্মকালীন দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা ১২৫০০ থেকে ১৩০০০ মেগাওয়াট। বর্তমানে বিদ্যুতের মোট স্থাপিত উৎপাদন ক্ষমতা ক্যাপটিভ নবায়নযোগ্য জ্বালানীসহ ২২ হাজার ৫৬২ মেগাওয়াট। উৎপাদন ক্ষমতার বিপরীতে দেশে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে।

তিনি জানান, বর্তমানে মোট ১৫ হাজার ৯৩৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৪৮টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণাধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০২৭ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে।

মোট ৩ হাজার ২৭৭ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের চুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মোট ১ হাজার ১৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৮টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের লক্ষ্যে দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পর্যায়ক্রমে চালু হবে।

এ ছাড়া মোট ১৯ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার ১৭টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ পরিকল্পনাধীন রয়েছে এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার ভিত্তিতে ভারতের ২টি স্থান থেকে ১ হাজার ৮৩৬ মেগাওয়াট ক্ষমতার বিদ্যুৎ আমদানি কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে, যা ২০২১ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে শুরু হবে।