• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশের পরীক্ষামূলক রেল ইঞ্জিন ভারতে

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২০  

বাংলাদেশ রেলওয়ের বিশেষজ্ঞ দল একটি রেল ইঞ্জিন নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে গেছে গতকাল মঙ্গলবার। সেখানে দুই দেশের বিশেষজ্ঞরা এ লাইন দিয়ে ট্রেন চলাচলের বিষয়ে চূড়ান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন।


গত ৮ অক্টোবর বেলা ১১টার দিকে ভারতের রেলওয়ের বিশেষজ্ঞ দল একটি রেল ইঞ্জিন পরীক্ষামূলকভাবে ভারত সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে নিয়ে আসে। কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ১০ মিনিট অবস্থানের পর আবার তারা ফিরে যায়।

রেলের পশ্চিমাঞ্চল জোনের প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুর রহিম জানান, আজ বাংলাদেশ থেকে একটি বিশেষজ্ঞ দল ট্রেনের একটি ইঞ্জিন নিয়ে ভারতে যাওয়ার কথা রয়েছে।

পশ্চিমাঞ্চল জোনের প্রধান প্রকৌশলী আল ফাতাহ মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান, প্রধান পরিবহন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম, পাকশি বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক মো. শাহিদুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুর রহিম, নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান উদ্দিন ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী তৌহিদুল ইসলাম সেখানে বাংলাদেশের পক্ষে থাকবেন।

ভারতের পক্ষে থাকবেন উত্তর-পূর্ব রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী জেপি শিং, উপপ্রধান প্রকৌশলী ভিকেমিনা ও নির্বাহী প্রকৌশলী পিকেজে।

চলতি বছরের ২৮ আগস্ট চিলাহাটির জিরো পয়েন্টে বাংলাদেশ-ভারত সংযোগস্থলে রেলপথ নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। ওই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী এ পথে রেল চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। ৫৫ বছর পর আবারো এই রেললাইন দিয়ে ট্রেন চলাচলের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগের নব দিগন্তের সূচনা হবে। করোনা পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে সেটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে।

১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট পাক-ভারত বিভক্তির পরও এপথে রেল চলাচল চালু ছিল। সে সময়ে এ পথে দুই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলাচল করত যাত্রী ও মালবাহী ট্রেন। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের পর বন্ধ হয় দুই দেশের মধ্যে রেল চলাচল। পরিত্যক্ত রেলপথটি চালুর উদ্যোগ নেন শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদী সরকার।

রেলপথটি চালু করতে ৮০ কোটি ১৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেয় বর্তমান সরকার।

প্রকল্পটির মধ্যে রয়েছে- চিলাহাটি রেলস্টেশন থেকে সীমান্ত পর্যন্ত ৬ দশমিক ৭২৪ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ ও ২ দশমিক ৩৬ কিলোমিটার লুপলাইন নির্মাণসহ অন্যান্য অবকাঠামো। গত মঙ্গলবার বিকেলে বাংলাদেশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে দেয় ভারতীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

বিশেষজ্ঞরা জানান, রেল সংযোগটি চালু হলে দেশে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। দেশ উন্নয়নের দিক থেকে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডায়নামিক নেতৃত্বের গুণেই ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌছেছে।