• বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৫ ১৪৩১

  • || ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

সৈয়দপুরে প্রেমিকাকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ, গ্রেপ্তার ৩ বন্ধু

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩ মে ২০২১  

নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রেমিকার ধর্ষণের ভিডিও ধারণের মামলায় তিন বন্ধুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার গভীর রাতে ওই তিন বন্ধুকে পৃথক পৃথক স্থান থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ধর্ষণের দুই মিনিট ৩০ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপ উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর চড়কপাড়ার আব্দুল মালেকের ছেলে মো. মুন্না (২৫), একই গ্রামের পাঠানপাড়ার শওকত আলীর ছেলে মো. আলাল (২৫) ও আমজাদের মোড়ের শহিদুল ইসলামের ছেলে তৌফিক ইসলাম তুহিন (২০)। এরা তিনজনই পরস্পরে বন্ধু।

পুলিশ জানায়, সৈয়দপুরের বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের এক মাদরাসাছাত্রীর সঙ্গে ২০১৮ সালে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে মুন্নার। ওই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর পাঠানপাড়ার এক বাড়িতে নিয়ে ওই মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণ করেন মুন্না। এসময় প্রেমিক কৌশলে ওই ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে রাখে।

এরপর ২০২০ সালের ২৪ জানুয়ারি ওই মাদরাসাছাত্রীর বিয়ে হয়। গত ১০ এপ্রিল রাতে মুন্নার বন্ধু তুহিন ওই ছাত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাকে জানায় মুন্নার সঙ্গে তার ধর্ষণের একটি ভিডিও রয়েছে। এ কথার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য গত ১৪ এপ্রিল ওই ছাত্রী একটি রেস্টুরেন্টে তুহিনের সঙ্গে দেখা করে। তুহিন একটি ফেসবুক আইডি থেকে সেই ভিডিও দেখায়। এসময় ভিডিওটি ডিলিট করার জন্য অনুরোধ করলে তুহিন দুই লাখ টাকা অথবা শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেয়। গতকাল শনিবার আবারো তুহিন মোবাইল ফোনে ওই ছাত্রীকে একই প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হলে ভিডিওটি ইন্টারনেট ও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।

এ ঘটনার পর বিকেলে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে সাবেক প্রেমিকসহ তিন বন্ধুকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার পর পরই শহরের পাঁচমাথা মোড় থেকে তৌফিক ইসলাম তুহিন, আমজাদের মোড় থেকে মো. আলাল এবং নিজ বাড়ি থেকে মো. মুন্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান জানান, ভিকটিমকে রবিবার সকালে শারিরীক পরীক্ষার জন্য নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে এবং গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলাটি নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনসহ পর্নোগ্রাফি আইনে রুজু হয়েছে।