• বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১০ ১৪৩১

  • || ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

সৈয়দপুরে হুইল চেয়ার পেল প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী মিলন

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০২১  

নীলফামারীর সৈয়দপুরে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অ্যামপ্যাথির উদ্যোগে শারীরিক প্রতিবন্ধী এক শিশু শিক্ষার্থীকে একটি হুইল চেয়ার প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের কিসামত কামারপুকুর গ্রামে সংস্থার প্রধান কার্যালয় চত্বরে ওই হুইল চেয়ারটি হস্তান্তর করা হয়।

স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অ্যামপ্যাথির সভাপতি ও সৈয়দপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক তোফাজ্জল হোসেন লুতু প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ওই শিশু শিক্ষার্থীর হাতে হুইল চেয়ারটি তুলে দেন।

এ সময় সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মো. শফিকুল আলম, শিশু স্বর্গ বিদ্যানিকেতনের সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুল্লাহ্-আল মামুন সোহাগ, সোহাগ রানা  দিপু, উন্নয়ন কর্মী মো. তারিকুল ইসলাম তারিকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শারীরিক প্রতিবন্ধী শিশু শিক্ষার্থী মিলন ইসলাম (১৩)। সে সৈয়দপুরের পার্শ্ববর্তী দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ফতেজংপুর ইউনিয়নের ফেরুশা ডাঙ্গাপাড়া চৌধুরীপাড়া গ্রামের মো. দুলাল ও মোছা. লিলুফা দম্পতির সন্তান। জন্মগতভাবে সে শারীরিক প্রতিবন্ধী। তারপরও তাকে স্কুলে ভর্তি করে দেন তার বাবা-মা। সে বাড়ির পাশের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণিতে অধ্যয়ন করছে। কিন্তু মিলন শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় নিজে নিজে স্কুলে যাওয়া-আসা করতে পারছিল না। আর তাকে স্কুলে যাতায়াতের জন্য একটি হুইল চেয়ার কিনে দেবে এমন আর্থিক সামর্থ্য নেই তার পরিবাররের। এ অবস্থায় তার বাবা-মা তাকে কোলে পিঠে করে বিদ্যালয়ে আনা নেওয়া করছিলেন। আর তার এ অসহায়ত্বের বিষয় লোক মারফত অবগত হন নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের কিসামত কামারপুকুর গ্রামের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অ্যামপ্যাথির পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম। পরবর্তী সময়ে তিনি সংস্থার পক্ষ থেকে মিলনের জন্য একটি নতুন হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করেন।