• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
মুজিবনগর সরকারের ভূমিকা ইতিহাসে অনন্য: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা হস্ত‌ক্ষেপ করবে না: ওবায়দুল কাদের লালমনিরহাটে যুবলীগ কর্মীর পায়ের রগ কাটলেন যুবদল নেতা বাসার ছাদ থেকে পড়ে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক

সৈয়দপুরের ঈদ পোশাক বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ৫ কোটি!

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ২৭ মে ২০১৯  

নীলফামারী জেলার একমাত্র বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরে ঈদকে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্ষুদ্র পোশাক প্রস্তুতকারী গার্মেন্টস শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা। এবারের ঈদে সৈয়দপুরের তৈরি পোশাক বিক্রির লক্ষ্যমাত্রা প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা বলে আশাবাদ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। 

ইতোমধ্যে তৈরি পোশাকের ব্যাপক মজুদ গড়ে তুলেছে ব্যবসায়ীরা। এবার বাজারে চাহিদাও প্রচুর। জেলার গণ্ডি পেরিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে খুচরা পাইকাররা আসছেন পোশাক কিনতে।
তৈরি পোশাকের মধ্যে রয়েছে শিশুদের পোশাক, ছেলেদের শার্ট, প্যান্ট, ট্রাউজার, মেয়েদের পোশাক ও বোরকা। এখানে তুলনামুলকভাবে দাম কম পাওয়ায় পাশ্ববর্তী জেলার পাইকার ক্রেতাদের চাহিদা তুলনামূলক বেশি থাকে। ঈদ বাজারে শিশুদের নানা রঙের বাহারি পোশাকের চাহিদা দেখাচ্ছে যাচ্ছে বেশ।

সরেজমিনে দেখা যায়, সৈয়দপুর শহরে রেলঘুন্টি বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বিদ্যুৎচালিত সেলাই মেশিনে পোশাক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে। এদের মধ্যে কেউ কাপড় কাটছেন, কেউ সেলাই করছেন, কেউবা চেইন বা বোতাম ঘর তৈরির কাজ করছেন। ঈদে পোশাকের বাড়তি চাহিদা মেটাতে রোজার শুরু থেকেই অতিরিক্ত শ্রম দিয়ে থাকেন শ্রমিকরা। এতে বাড়তি আয়ও হয়ে থাকে।

সৈয়দপুরের মোকামতলী এলাকার পোশাক প্রস্তুতকারী গার্মেন্টসের মালিক ইদ্রিস আলী বলেন, ‘এবারের ঈদে আমরা স্থানীয় বাজারের দিকে তাকিয়ে আছি। তবে জেলার বাইরে বিভাগীয় শহর রংপুর, দিনাজপুর, জয়পুরহাট, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্দায়  সৈয়দপুরের  তৈরি পোশাক নিয়ে যান পাইকাররা। অবশ্য এবার এখনও ভালোভাবে বেচাকেনা শুরু হয়নি। তবে দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই বাজারে ক্রেতা সমাগম বাড়ছে।’

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতি ও গার্মেন্টস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আলম বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে পাশ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল ও ভুটানে পোশাক রপ্তানি বন্ধ থাকায় আমরা স্থানীয় বাজারের দিকে তাকিয়ে আছি। আশা করছি এবারও বেচাকেনা ভালো হবে।’

নীলফামারী চেম্বার অব কর্মাসের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফরহানুল হক বলেন, ‘ভারত, নেপাল, ভুটানসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে সৈয়দপুরে তৈরি এসব পণ্য। তবে এবারের ঈদে এসব পোশাক বাইরের দেশে রপ্তানি হচ্ছে না নানা কারণে। এখানকার উৎপাদিত পোশাক গুণগত মানের হওয়ায় শ্রমিক ও মালিকরা মনে করেন, বিদেশে রপ্তানি না হলেও এই ঈদে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার পোশাক বিক্রি হবে।’

ঈদ ও পূজায় সৈয়দপুরের পোশাক নীলফামারীর জেলা ছাড়িয়ে আশপাশের জেলায় প্রচুর বিক্রি হয়। তৈরি পোশাকের গুণগতমান ভালো হওয়ায় দেশের বাইরেও রপ্তানি হয় পোশাক। এসব মিলিয়ে আসছে ঈদে সৈয়দপুর থেকে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার পোশাক বিক্রি হওয়ার আশা কতটুকু কার্যক্রর হয়, তা দেখতে চাঁদরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।