• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১১ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

স্বজন লিংকঃ মোবাইলে কথা বলতে পারবেন আত্মীয়-স্বজনেরা

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯  

কারাবন্দিদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ দিতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে দেশের সব কারাগারে তৈরি করা হবে স্বজন লিংক।

জানা গেছে, কারাবন্দিরা তাদের আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে ৫ থেকে সর্বোচ্চ ১০ মিনিট পর্যন্ত কথা বলতে পারবেন। তবে বন্দিদের সব কথোপকথন নজরদারি ও রেকর্ডের আওতায় থাকবে।

এদিকে প্রযুক্তির উৎকর্ষতায় বিশ্বের অনেক দেশের কারাগারে বন্দিদের ফোন ব্যবহারের ব্যবস্থা আগে থেকেই রয়েছে। তবে বাংলাদেশে এটাই প্রথম উদ্যোগ।

প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের সার্ভিস ইনোভেশন ফান্ডের মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ পরীক্ষামূলক এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশের সব কারাগারে ‘স্বজন লিংক স্থাপন’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, প্রকল্পের মোট ব্যয় হবে প্রায় ৪৯ কোটি ৯৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। এর আওতায় কারাগারে মোবাইল বুথ স্থাপন বা স্বজন লিংক স্থাপন করা হবে। প্রকল্পটি চলতি সময় থেকে ২০২২ সালের জুন মেয়াদে বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রকল্পের আওতায় ৬৮টি কারাগারে ৯৯টি ভবনে সর্বমোট ৩৬৫টি বুথ হবে। এরই মধ্যে অনুমোদিত কয়েকটি প্রকল্পের আওতায় বিদ্যমান কারাগারগুলোর মধ্যে অনেকগুলো সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। এ কারণে বন্দির সংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে প্রস্তাবিত বুথের সংখ্যা পুনঃনির্ধারণ করা হবে। এছাড়াও ৬৮টি কারাগারের মধ্যে নতুন ৬৭টি কারাগারে এবং টাঙ্গাইল কারাগারের জন্য প্রয়োজনে নারী বন্দিদের জন্য আলাদা বুথের ব্যবস্থা করা হবে। 

সহকারী কারা মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মো. ওবায়দুর রহমান জানান, কারাগারে স্বজন লিংক স্থাপন করার পরিপ্রেক্ষিতে প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। এতে বন্দিরা স্বজনের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। কথা বলার সময় আমাদের লোকজন সঙ্গে থাকবেন। কী ধরনের কথা বলছেন তা নজরদারি করা হবে। সর্বোচ্চ ৫ থেকে ১০ মিনিট পর্যন্ত কথা বলতে পারবেন বন্দিরা।