• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিতে চিলাহাটি হয়ে ভারতে যাবে ট্রেন’

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৯ আগস্ট ২০২০  

রেলপথমন্ত্রী এ্যাড. মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, বাংলাদেশের চিলাহাটি ও ভারতের হলদিবাড়ি হয়ে ভারত বাংলাদেশ রেল যোগাযোগ আগামী ২৬ মার্চ শুরু হবে। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আগামী সেদিন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ওই রেলপথ যোগাযোগের উদ্বোধন করবেন।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫টায় নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটির জিরো পয়েন্ট ডাঙ্গাপাড়ায় ভারত-বাংলাদেশ সংযোগ রেল পথের নির্মাণ কাজের পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, কোভিট-১৯ মহামারী অতিক্রম করতে পারলে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে সেটি উদ্বোধন হবে। আর যদি সম্পূর্ণ নিরাপদ না হয়, তাহলে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করা হবে। 

মন্ত্রী বলেন, আমরা আশা করছি আগামী ডিসেম্বরের আগেই আমাদের অংশের রেল লাইন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে উদ্বোধনের জন্য আমরা প্রস্তুত থাকবো। ভারতের অংশে যেটুকু বাকি আছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করার অনুরোধ জানানো হবে। 

মন্ত্রী আরও বলেন, অবিভক্ত ভারতের রেল যোগাযোগের এটিই প্রধান পথ ছিল। পাকিস্তান ভারত ভাগ হওয়ার পরেও ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত সেটি চালু ছিল। কলকাতা থেকে এ পথে ট্রেন চলাচল করতো। সেই রেল যোগাযোগটি ১৯৬৫ সালের পাক ভারত যুদ্ধের সময় বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে যে সোনালী অধ্যায়ের সূচনা করেছে তারই ফলশ্রুতিতে এই রেলপথ পূণরায় চালুর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। 

গত জুন মাসে এ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে আমরা মহা দুর্যোগের মধ্যে আছি। সে কারণে আমাদের অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন কর্মকান্ড বাধাগ্রস্ত হয়েছে। তার পরেও স্থানীয় প্রশাসনের  সহযোগিতায় এ প্রকল্পটি অনেকটা চলমান আছে। অন্যান্য প্রকল্পের মত এ প্রকল্পেরও এক বছর মেয়াদ বাড়ানো হলেও প্রকল্পটির বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান এবং প্রকল্প পরিচালকের আন্তরিকতায় কাজটি শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আমাদের মাত্র দেড় কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ কাজ বাকি আছে, সেটি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে। 

মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে রেল যোগাযোগের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সারা বাংলাদেশে রেলপথের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বিশ্বমানের করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এছাড়া বাংলাদেশ-ভারত-বাংলাদেশ যে ট্রেনগুলি চলাচল করে সেগুলি শুধুমাত্র যাত্রীবাহি ট্রেন। চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ যোগাযোগ স্থাপন হলে এই পথ দিয়ে যাত্রীবাহি ট্রেনের পাশাপাশি মালবাহি ট্রেনও চলাচল করবে। এতে বাংলাদেশ ভারত সহ ৫টি দেশের অর্থনৈতিক যোগাযোগ ব্যবস্থার নতুন ধারা বয়ে নিয়ে আসবে এই রেলপথটি।

রেলপথমন্ত্রী সুজন আরো বলেন, করোনাকালিন সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-রাজশাহী-ঢাকা রুটে প্রথমবারের মতো ‘ম্যাংগো স্পেশাল ট্রেন’ সার্ভিস চালু করা হয়েছে। ঠিক তেমনি চিলাহটি-হলদিবাড়ি রেলযোগাযোগ পথ চালু হলেই নীলফামারীবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি সকালে ঢাকা রুটে আরো একটি ট্রেন সেটিও একটি ‘স্পেপাল ট্রেন’ দেয়া হবে। তার সাথে কালিয়াকৈরে নির্মিত বঙ্গবন্ধু হাইটেকপার্ক রেল স্টেশনের চিলাহাটি রেলস্টেশনকেও হাইটেকপার্ক রেল স্টেশনে রূপান্তরিত করা হবে। 

পরিদর্শনের সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নীলফামারী-১(ডোমার-ডিমলা) আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, রেলের পশ্চিমাঞ্চলীয় জোনের মহা ব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ, জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোখলেছুর রহমান(বিপিএম,পিপিএম), চিলাহাটি রেললাইন নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুর রহিম, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সরকার ফারহানা আকতার সুমি, ডোমার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাসট্রাকচার লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক মো. রোকনুজ্জামান সিহাব প্রমুখ। 

উল্লেখ্য, গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর চিলাহাটি রেল স্টেশন চত্বরে প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।