• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

হাতীবান্ধা-ডোমারে ১৩২ কেভির বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন একনেকে অনুমোদন

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ নভেম্বর ২০১৯  

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা ও নীলফামারীর ডোমারে ১৩২ কেভি জিআইএস উপ-কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (পিজিসিবি)। এরইমধ্যে একনেকের সভায় ৩৫টি ১৩২ কেভির জিআইএস উপ-কেন্দ্রের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে হাতীবান্ধা ও ডোমারের দুটি উপ-কেন্দ্র রয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে লালমনিরহাট-১ আসনের এমপি মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধান সম্ভব হলে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় শিল্পায়নের সম্ভাবনা রয়েছে। এ এলাকার মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব হবে। এ লক্ষ্যে হাতীবান্ধা ও ডোমার এলাকায় একটি করে মোট দুটি ১৩২ কেভি জিআইএস উপ-কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এছাড়া সংশ্লিষ্ট ২৩০ কেভি ও ১৩২ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণের পরিকল্পনাও নেয়া হয়েছে।

তিনি আরো জানান, মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় সারাদেশে ৩৫টি উপ-কেন্দ্র নির্মাণসহ ৪০৮ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণের অনুমোদন দেয়া হয়। তার মধ্যে হাতীবান্ধা ও ডোমারের দুটি উপ-কেন্দ্রের প্রকল্প রয়েছে। দুটি উপ-কেন্দ্রের ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৯৪৯ কোটি ৯৫ লাখ ২৩ হাজার টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে এক হাজার ৪১৫ কোটি ৯৫ লাখ ৯৬ হাজার, প্রকল্প ঋণ চার হাজার ২১২ কোটি ৩০ লাখ ৪১ হাজার ও সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন হবে ৩২১ কোটি ৬৮ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।

বিদ্যুৎ বিভাগের উদ্যোগে ‘ঢাকা এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় গ্রিড সঞ্চালন ব্যবস্থা সম্প্রসারণ’ নামের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে পিজিসিবি।

পিজিসিবি’র তথ্যানুযায়ী, রংপুর বিভাগের আওতাধীন লালমনিরহাটের হাতীবান্ধার গ্রিড উপ-কেন্দ্র থেকে ৭০ কিলোমিটার ৩৩ কেভি লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। ফলে এ এলাকায় সুষ্ঠু ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।

এ প্রকল্পের আওতায় ২২ কিলোমিটার ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইন নির্মাণ, ১৪৪ কিলোমিটার ২৩০ কেভি লাইন, ২৪২ কিলোমিটার ১৩২ কেভি লাইন, দুটি ৪০০ কেভি উপ-কেন্দ্র, তিনটি ২৩০ কেভি উপ-কেন্দ্র, ১০টি ১৩২ কেভি উপ-কেন্দ্র নির্মাণ এবং ২০টি ১৩২ কেভি সম্প্রসারণ করা হবে।