• শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৫ ১৪৩০

  • || ১৮ রমজান ১৪৪৫

সর্বশেষ:
বাংলাদেশকে হুমকির মুখে ফেলেছে ক্রমবর্ধমান জলরাশি: গবেষণা উত্তরবঙ্গের মহাসড়কে চার লেন চালু, ঈদযাত্রা হবে স্বস্তির সব উন্নয়ন সহযোগীদের এক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী বিডিএস ভূমি ব্যবস্থাপনায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে: ভূমিমন্ত্রী বিএনপির নিগৃহীত নেতাকর্মীদের তালিকা দিতে হবে: ওবায়দুল কাদের

হাতীবান্ধায় জনস্বাস্থ্য অফিসে দুই কর্মচারীর দাপট!

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২০  

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে নৈশ প্রহরী- নলকূপ পদে রয়েছেন কদম আলী ও ফিরোজ হোসেন। তাদের দাপটেই চলে পুরো অফিস। তাদের দাপটের কাছে খোদ উপ-সহকারী প্রকৌশলী প্রকাশ কান্তিও অসহায়। উপ-সহকারীসহ এ অফিসে ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারী থাকলেও সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন এই দুইজন। প্রায় ২৪ বছর ধরে একই অফিসে কর্মরত কদম আলীর বদলি হয় না। কিছুদিনের জন্য লালমনিরহাট সদরে কাগজ-কলমে বদলি হলেও অফিস করেছেন হাতীবান্ধায়। তিনি নৈশপ্রহরী হলেও অন্য এক অফিসের বিল ভাউচার তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকেন। অনেকে তাকেই উপ-সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী বলে জানেন।
 
ফিরোজ এ অফিসে নয় বছর ধরে কর্মরত রয়েছেন। তিনি নলকূপ মেকানিক পদে কর্মরত থাকলেও পুরো সময় ব্যস্ত থাকেন ঠিকাদারি নিয়ে। ঠিকাদার ও তদারকির দায়িত্বে থাকায় নয়-ছয় কাজ করে বিল তোলেন তিনি। তাকে ঠিকাদার বলেই চেনেন।

জানা গেছে, সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহলগুলোতে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় নানা উন্নয়নমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে। এ কর্মসূচির আওতায় ছিটমহলগুলোতে শতভাগ স্যানিটেশন ও বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে চলছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে হাতীবান্ধা উপজেলার জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে ওঠে।

ওই সিন্ডিকেটের হোতা হলেন কদম ও ফিরোজ। তারা দুইজন মিলে পুরো অফিস নিয়ন্ত্রণ করছেন। এদিকে কদম আলীর অনুমতি ছাড়া তথ্য ফরমও জমা নেন না অফিস সহকারী।

এসব অভিযোগ অস্বাীকার করে কদম আলী ও ফিরোজ বলেন, আমরা চাকরির বাইরে কোনো কাজের সঙ্গে জড়িত নেই। অনেকেই আমাদের বিরুদ্ধে যড়ষন্ত্র করছেন।
 
উপজেলা জনস্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী প্রকাশ কান্তি রায় বলেন, নৈশপ্রহরী পদে কদম আলীকে বদলির জন্য একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্মকতার্দের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। আর ফিরোজ ঠিকাদারি করেন না। তিনি কাজগুলো দেখভাল করেন।

জেলা জনস্বাস্থ্য বিভাগের প্রকৌশলী মাইন উদ্দিন বলেন, দীর্ঘ ২৪ বছর ধরে একই অফিসে চাকরি করে বিধি লঙ্ঘন করেছেন কদম আলী। আমি এ জেলায় নতুন এসেছি। তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।