• মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ৫ ১৪৩০

  • || ০৮ রমজান ১৪৪৫

হাসপাতালে গিয়ে সেবা না পাওয়া দুঃখজনক- প্রধানমন্ত্রী

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ এপ্রিল ২০২০  

চিকিৎসা নিতে গিয়ে হাসপাতালে সেবা না পাওয়ার ঘটনাকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি। সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ভিডিও কনফারেন্স শুরু হয়।

শেখ হাসিনা বলেন, অনেক ক্ষেত্রে মানুষ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা পাচ্ছেন না, সেবা পাচ্ছেন না এটা খুবই দুঃখজনক। আক্রান্তদের মানবিক দৃষ্টিতে দেখতে হবে।

চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাস হানা দেয়ার দুই মাস ৮ দিন পর বাংলাদেশে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। চলতি বছরের ৮ মার্চ প্রথম বাংলাদেশে তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হলেও এখন এই সংখ্যাটা ১২৩ জনে। তাদের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়।

শুরুর দিকে ভাইরাসটির সংক্রমণ কম দেখা গেলেও গতকাল একদিনে ৩৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে, যা বাংলাদেশে একদিনে সর্বোচ্চ। করোনার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে চিকি’সা নিতে গিয়ে সেবা না পেয়ে কারও কারও মৃত্যুর খবর গণমাধ্যমে আসছে।

এই বিষয়টি নিয়ে দুঃখপ্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, `আমাদের দেশে এই মুহুর্তের হিসাব হল ১২৩ জন রোগী পাওয়া গেছে মৃতের সংখ্যা ১২ জন। তার মধ্যে বেশিরভাগই বয়স্ক মানুষ। তাদের অন্যান্য রোগও ছিল। শারীরিকভাবে তারা দুর্বল ছিলেন। এখানে আরেকটি কথা আমি বলি সেটা খুব দুঃখজনক ঢাকা ইউনিভার্সিটির একজন ছাত্র চিকিৎসা নিতে গেলে কোন ডাক্তার পায়নি সেটা খুবই দুঃখজনক। ডাক্তাররা কেন চিকিৎসা করবে না।‘

করোনার সময়েও যারা কাজ করছেন তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, `প্রত্যেকটা সরকারি প্রতিষ্ঠান আন্তরিকভাবে কাজ করেছে। এখন যারা বিভিন্ন জেলায় কর্মরত আছেন তারা খুব কষ্ট করছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই।‘

সরকার অসহায় মানুষদের পাশে আছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, `যেহেতু মানুষের জীবন জীবিকা বন্ধ হওয়ার উপক্রম। বা যারা দিন আনে দিন খায় তাদের কাজ বন্ধ হয়ে আছে। এবাবে বহু লোক কষ্ট সহ্য করছে। আমাদের সাধ্যমত আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে ১০ টাকায় চাল দিচ্ছি। বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিচ্ছি। আমরা বিভিন্ন ভাতাগুলো আমাদের অব্যাহত থাকবে। যারা ভাতাপ্রাপ্ত না তাদেরকে তো আমরা চাল দেবোই তার বাইরে যারা অন্তত অনুদান নিবে না কিনে খেতে চায় তাদের জন্য এ ব্যবস্থা। মাছ ধরা বন্ধ থাকলে তাদের সাহায্য দেয়া হবে। তার বাইরে যে শ্রেণিতে দৈনিক কাজ করে খেত তারা যেন কষ্ট না পায় তাদের খুঁজে বের করতে হবে। যারা এ ধরনের আছেন নিম্œবিত্ত বা মধ্যবিত্ত তাদেরকেও ১০ টাকা কেজি চাল দিতে হবে। সুনির্দিষ্ট লোকের কাছে পৌঁছানোর জন্য কার্ড করে দিতে হবে।

এখানে চট্টগ্রাম বিভাগ ও সিলেট বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে আমার অনুরোধ উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যন্ত আমাদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা আছেন তাদের কাছেও অনুরোধ সকলকে মিলে কমিটি করে দিতে হবে। এবং সেই কমিটি ভাতা পাওয়াদের বাদ রেখে খেটে খাওয়া মানুষদের তালিকা করতে হবে। অনেকে হাত পাততে আসবে না। অনেকে চাইতে পারবে না। তারা যাতে কষ্ট না করে তাদের বাড়িতে বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিতে হবে। আমাদের প্রশাসন উদ্যোগ নেবেন। সকলে মিলেই এই তালিকাটা করতে যারা সত্যিকার সাহায্যপ্রার্থী তাদের কাছে যেন সাহায্যটা পৌঁছায়। অন্তত নিদেনপক্ষে খাদ্যের ব্যবস্তাটা করতে হবে। এটা আপনারা দয়া করে করবেন এটা আমি চাই। আর এই ক্ষেত্রে যতদূর পারি আমরা করব।‘