• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

হোটেলে কিছু সাবধাণতা

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ২৩ ডিসেম্বর ২০১৮  

শীতের মৌসুম মানেই বেড়ানো, অনেক আড্ডা আর পিকনিক। বেড়ানোর জন্য প্রথমেই টিকেটের কথা ভাবতে হয়। এরপর ভাবতে হয় ভালো কোনো হোটেলের কথা। হোটেলে গিয়ে বেশ কিছু কাজ আমরা অজান্তেই করে ফেলি। যেগুলো আমাদের করা কোনো ভাবেই উচিত নয়। হোটেলে গেলে সব সময় আমাদের একটু সতর্ক থাকা উচিত। সেসব বিষয় সম্পর্কে জেনে নিন।

 

1.হোটেলে কিছু সাবধাণতা

ঘরে ঢুকেই প্রথমে ক্লান্ত শরীরে সবাই বিছানায় শুয়ে আরাম করতে চায়। কিন্তু কোনো হোটেলে গেলে প্রথমেই বিছানার দিকে খেয়াল করতে হবে। কোনো পোকা মাকড় বা ময়লা কিছু বিছানার ওপর রয়েছে কি না? ঘুমানোর আগে বিছানার একটু ওপরে ঝারু দিয়ে ঝেরে নিতে হবে।

অনেক সময় বালিশের কভার পাল্টানো যায় না। এসব বালিশ দাগ বা গন্ধ হয়ে গেলে ফেলে দেওয়া হয়। সে বালিশে ঘুমানোর আগে দেখে নিতে হবে সব ঠিক আছে কি না। যদি বালিশে ময়দা বা পোকা মাকড় থাকে তবে সে বালিশে না ঘুমানোই ভালো। আপনি বালিশে ঘুমালে যদি দেখেন বালিশ আপনার ঘারের লেভেলে নাই। তবে সেটা আপনার ঘাড়ের সমান করে নিতে হবে। বালিশ ভালো না হলে ভালো বালিশ হোটেল কতৃপক্ষের কাছ থেকে নিয়ে নিতে পারেন। ঘুম ভালো না হলে ঘাড় ব্যথা বা কোমড় ব্যথা হতে পারে। তবে সব ঘোরাফেরাই মাটি হয়ে যাবে। তাই কোনো হোটেলে ঢুকে বিছানা ও বালিশ কোনোটি অবহেলা করা যাবে না।

হোটেলের সবগুলো ঘরেই একটি করে আলমারি থাকে। যাতে আপনি আপনার জামাকাপড় বা সুটকেস রাখতে পারেন। কিন্তু সব সময় নিজের প্রতি নিজের সতর্ক থাকতে হবে। যতই হোটেলের নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকুক না কেন? নিজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিজের কাছে। তাই হোটের ব্যবহৃত কোনো আলমারিতে স্বর্ন অলংকার বা দামী কোনো জিনিস রাখা উচিত নয়।

অনেক সময় দেখা যায়, ঘুরতে গেলে বা সমুদ্রে গোসল করতে গেলে ওয়ালেট, টাকা পয়সা বা দামী কোনো জিনিস হোটেলের রুমে রেখে যাওয়া হয়। এটা কোনোভাবেই ঠিক নয়। কারণ বিপদ যেকোনো সময়ে আসতে পারে। তাই এসব ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।

আবার অনেক সময় ঘুরতে গেলে ল্যাপটপ নিয়ে যাই। হোটের ওয়াই ফাই ব্যবহার করে অফিসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করা হয়ে থাকে। এটা ঠিক নয়। কারণ তখন অফিসের যেকোনো গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যেতে পারে। সে কারণেই হোটেলের ওয়াই ফাই ব্যবহার করে গোপন কোনো কাজ, অফিসিয়াল কাজ বা কোনো গুরুত্বপূর্ন তথ্য আদান প্রদানের কাজ করা কখনোই ঠিক নয়। অনেক হোটেলের রুমে ছোট ফ্রিজ থাকে। সেখানে পছন্দের নানা রকম ড্রিংকস পাওয়া যায়। সেই ড্রিংকসগুলো আমরা অনেক সময় খেয়ে থাকি। কিন্তু আমরা কখনো ভাবি না যে এটা চার্জ আছে কী না? এ ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। হোটেল কতৃপক্ষকে জিজ্ঞাস করা উচিত এটা চার্জেবল কী না? তারপর আপনি খেতে পারেন। আর জিজ্ঞেস করে না খেয়ে পরে চার্জের কথা জানলে একটা বাজে পরিস্থিতি হতে পারে।

হোটেলে সাধারণত কোনো পোষা প্রাণী রাখা যায় না। সে ক্ষেত্রে আপনি গোপনে কোনো পোষা পাখি বা প্রাণী নিয়ে গেলে সেটা জানতে পারলে ব্যাপারটা অনেক খারাপ হয়। কারণ যেকোনো পোষা প্রাণীর লোম ঝরতে পারে। সে লোমগুলো শিশুদের ক্ষতির কারণ হতে পারে। এ কারণেই কোনো হোটেলে যাওয়ার আগে সেখানে শখের পোষা প্রাণী রাখার অনুমোদন দেওয়া হয় কী না ? তা জেনে নিতে হবে।

আমরা সবাই ঘুরতে যাই আনন্দ করার জন্য। একটা হোটেলে শুধু যে আমাদের বয়সী সবাই থাকবে এমনটি নয়। আমাদের থেকেও অনেক বয়সী লোক থাকতে পারে। তাই আমাদের আনন্দ যেন এমন কিছু না হয় যেটা বয়সী লোকদের কষ্টের কারণ হতে পারে। এ জন্য হোটেলের রুমে জোরে হইচই, গান বাজিয়ে আনন্দ ফুর্তি করা ঠিক নয়। এমন কোনো কাজ করা উচিত নয় যাতে অন্যদের সমস্যা হতে পারে।