• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

১ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিকটন কয়লা চুরির মামলায় ৩জনের জামিন আবেদন নাকচ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০১৯  

দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে বহুল আলোচিত এক লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭.৯৯ মেট্রিক টন কয়লা (যার আনুমানিক মুল্য ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা) আত্মসাতের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায়, বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমেদসহ ৩ জনের জামিন আবেদন নাকচ করে, কারাগারে প্রেরনের আদেশ দিয়েছে আদালত। আদালত কর্তৃক বাকী ২০ জনের জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আজিজ আহমদ ভুঞা এই আদেশ প্রদান করেন।

এর আগে সাত ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ২৩ জন আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করেন। বাদী ও বিবাদীপক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শ্রবন শেষে বিচারক ওই আদেশ দেন। জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের আদেশভুক্ত অন্য দুইজন হলেন- সাবেক মহাব্যবস্থাপক (মাইনং) আবু তাহের মোঃ নুরুজ্জামান চৌধুরী ও উপ-মহাব্যবস্থাপক একেএম খাদেমুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার একই আদালতের বিচারক এই চাঞ্চল্যকর মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ বিষয়ে শুনানি শেষে, বিচারক মামলার অভিযোগপত্রের তালিকাভুক্ত বড়পুকুরিয়ার সাবেক ৭ এমডিসহ ২৩ আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন। এছাড়াও তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদন মোতাবেক ৫ কর্মকর্তাকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির আদেশ প্রদান করেছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে গত ২০০৬ সালের জানুয়ারী মাস থেকে ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই পর্যন্ত ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৭ দশমিক ৯২ মেট্রিক টন কয়লা চুরি হয় । যার আনুমানিক মূল্য ২৪৩ কোটি ২৮ লাখ ৮২ হাজার ৫০১ টাকা ৮৪ পয়সা। এই ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয় এবং কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়। কয়লা গায়েবের ঘটনায় বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানীর ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) আনিসুর রহমান বাদী হয়ে গত ২০১৮ সালের ২৪ জুলাই ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে পার্বতীপুর থানায় মামলা করেন। মামলাটি দুদকের তফশীলভুক্ত হওয়ায়, দুদক কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়। পরে মামলাটি তদন্ত করে, গত ২৪ জুলাই মামলাটির অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক সামসুল আলম । আসামিরা দন্ডবিধির ৪০৯/১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন মর্মে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। এই অভিযোগপত্রে এজাহার নামীয় ছাড়াও সাবেক ৬ জন এমডিসহ ৯ জনকে যুক্ত করা হয় এবং ৫ জন এজাহার আসামীকে মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়।

জামিনে মুক্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন সাবেক এমডি প্রকৌশলী এসএম নুরল আওরঙ্গ জেব, আমিনুজ্জামান, প্রকৌশলী কামরুজ্জামান, আব্দুল আজিজ খান, প্রকৌশলী খুরশিদুল হাছান, মাবুবুর রহমান, সাবেক সহা ব্যবস্থাপক শরিফুর আলম, আবুল কাশেম প্রধানিয়া, উপ-মহাব্যবস্থাপক জোবায়ের আলী, ব্যবস্থাপক মাসুদুর রহমান হাওলাদার, সৈয়দ ইমাম হাছান, শোয়েবুর রহমান, অশোক কুমার হাওলাদার, আরিফুর রহমান, উপ-ব্যবস্থাপক খলিলুর রহমান, মোর্শেদুজ্জামান, হাবিববুর রহমান,জাহেদুর রহমান,সত্যেদ্রনাথ বর্মন, সহকারী ব্যবস্থাপক মনিরুজ্জামান।