• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী গরমে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ বাংলাদেশের শিশুরা: ইউনিসেফ গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন বাংলাদেশ-ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী কাতারের আমিরের সফরে যা পেল বাংলাদেশ

১৫ আগস্টের শোককে শক্তিতে রূপান্তর করতে হবেঃ ভূমিমন্ত্রী

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ১৯ আগস্ট ২০১৯  

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ১৫ আগস্টের শোককে শক্তিতে রূপান্তর করতে হবে। জাতির পিতার আদর্শকে ধারণ করে স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে।

রোববার সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন। স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে মন্ত্রণালয়।

ভূমিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ একটি দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল, যার নেতৃত্বে ছিলেন বঙ্গবন্ধু। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশের দায়িত্ব নেয়ার সময় এ দেশ সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত ছিল। এমনকি ওই সময় বিদেশি অনেকেই বাংলাদেশকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে বলতো এ দেশ টিকবে না। তাদের সেই ধারণা মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে।

তিনি বলেন, ১৯৭৫’র ১৫ আগস্টে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে আঘাত এসেছিল। জাতি হিসেবে আমাদের উপর এ ঘটনা একটি কলঙ্ক, যা কখনো মোচন হবে না। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে যেভাবে একটি যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন, ১৯৭৫ সালে তা থমকে দাড়ায়।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন তা পূরণ করতে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ নির্বাসন জীবন পার করে ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসেন। দীর্ঘ আন্দোলনের পর বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা ১৯৯৬ সালে দেশকে নেতৃত্বের দেয়ার সুযোগ পান। তার নেতৃত্বের পাঁচ বছর ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি স্বর্ণযুগ।

‘পরে ২০০৯ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে এ তিন মেয়াদে বাংলাদেশের যে আমূল পরিবর্তন হয়েছে তা অবিশ্বাস্য। সব পর্যায়ে মৌলিক চাহিদা পূরণে সফলতা অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে সামগ্রিক অর্থনীতিতে উন্নয়নের ধারা বজায় রাখার জন্য বিশ্বে বাংলাদেশ একটি রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।’

এর আগে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও পবিত্র গীতা পাঠের মধ্যে দিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। পরে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যসহ শাহাদত বরণকারী সবার রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।