• বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪ ||

  • চৈত্র ১৪ ১৪৩০

  • || ১৭ রমজান ১৪৪৫

২৮ বছর পর চলছে ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০১৯  

২৮ বছর পর চলছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। 

সোমবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। চলবে দুপুপ ২টা পর্যন্ত ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মোট ১৮টি আবাসিক হলের ৫১১টি বুথে ভোট দিবেন।

ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্লাটফর্ম বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ ও স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীরা বিভিন্ন হলে প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন শেষদিনও।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারণায় ব্যস্ত ছিলেন প্যানেল ও প্রার্থীরা।

এই ডাকসুর নির্বাচনে মোট পদ হলো ৩৮টি এর মধ্যে ডাকসুর ২৫ পদ ও হল সংসদের ১৩ পদসহ প্রতি ভোটার ৩৮টি ভোট দিয়ে প্রার্থীকে নির্বাচিত করার সুযোগ পাবেন।

এর মধ্যে ভিপি-জিএস-এজিএসসহ শীর্ষ পদগুলোয় জোর প্রতিযোগিতার আভাস পাওয়া গেছে।

কেন্দ্রীয় সংসদে ভিপি পদে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুরের মধ্যে।

এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বী ১৯ জনের মধ্যে বেশী আলচ্য থাকা অন্যরা হলেন ছাত্রদলের মোস্তাফিজুর রহমান ও বাম জোটের লিটন নন্দী।

ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিন আধিপত্য ধরে রাখা ছাত্রলীগের প্রার্থী হওয়ায় অনেকে শোভনকে এগিয়ে রাখলেও কোটা আন্দোলনে নেতৃত্বদান, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনসহ শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন অধিকার আদায়ে সোচ্চার থাকায় নুরুল হককে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবছেন অনেকে।

জিএস পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী এআরএম আসিফুর রহমানের মধ্যে।

জিএস পদে আলোচনায় থাকা অন্যদের মধ্যে আছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্রার্থী রাশেদ খান, ছাত্র ফেডারেশনের প্রার্থী উম্মে হাবিবা বেনজীর ও ছাত্রদলের আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক।

এজিএস পদে মূল লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে ছাত্রলীগের প্রার্থী সাদ্দাম হোসেন ও কোটা আন্দোলনের নেতা ফারুক হাসানের মধ্যে।

ক্যাম্পাসে দীর্ঘদিনের পরিচিত মুখ ছাত্রলীগের প্রার্থী সাদ্দাম হোসেনের শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা থাকলেও ফারুক হোসেনকেও এ পদে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ধরা হচ্ছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটার ৪২ হাজার ৯২৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ২৬ হাজার ৭৭২ এবং ছাত্রী ১৬ হাজার ১৪৫।

হলভিত্তিক পাঁচটি ছাত্রী হলের ভোটার সংখ্যা হচ্ছে- রোকেয়া হলে ৪ হাজার ৫৩০, শামসুন্নাহার হলে ৩ হাজার ৭৩৭, কবি সুফিয়া কামাল হলে ৩৭১০, বাংলাদেশ কুয়েত মৈত্রী হলে ১ হাজার ৯২০ এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলে ২ হাজার ২৪৮।

সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজনের লক্ষে রোববার সন্ধ্যার পর থেকেই ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশে কড়াকড়ি করা হয়।

ক্যাম্পাসের বিভিন্ন আবাসিক হলের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আইডি কার্ড দেখিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে হয়।