• বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১২ ১৪৩১

  • || ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তনে ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেত- প্রধানমন্ত্রী দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদনের রেকর্ড মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ‘গণতান্ত্রিক রীতিনীতি না মানলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে’ লালমনিরহাটে হত্যা মামলায় বিএনপির দুই নেতা কারাগারে

৪০ বছরের দাম্পত্য জীবন পূর্ণ করলেন হেমা মালিনি

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩ মে ২০২০  

হেমা মালিনি। বলিউডের ড্রিমগার্ল খ্যাত অভিনেত্রী তিনি। তবে সবার স্বপ্নে নায়িকা তিনি হলেও তার কিন্তু একজন স্বপ্নের নায়কও ছিলেন। আর সেই নায়কেই বিয়ে করে ৪০ বছরের দাম্পত্য জীবন পূর্ণ করলেন তারা। 

 ১৯৭০ সালে ‘তুম হাসিন ম্যায় জওয়ান’ ছবিতে জুটি বাঁধেন বলিউডের পাওয়ার ম্যান ধর্মেন্দ্র ও হেমা মালিনি। এরপরে আরো অনেক সিনেমায় কাজ করেন তারা। সেখান থেকেই তাদের প্রেমের সূচনা। অতঃপর হুট করেই বিয়ে। গতকাল (২ মে) ছিলো তাদের ৪০ বছরের দাম্পত্য জীবনের বর্ষপূর্তি। বলিউডের মিষ্টি এই জুটিকে শুভেচ্ছায় ভাসিয়েছেন তাদের ভক্ত-অনুরাগীরা।

বাবা-মায়ের পুরনো ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন তাদের দুই মেয়ে এষা ও আহানা। লিখেছেন, বাবা-মায়ের জন্য অনেক ভালোবাসা এবং দীর্ঘায়ুর কথা।

এদিকে আলোচনায় উঠে এসেছে আবারো সেই পুরনো প্রেম কাহিনি। এ যেন ঠিক সিনেমার গল্প! অবশ্য পাত্র-পাত্রীরাও তো রূপালী জগতেরই মানুষ। এরপরে ধর্মেন্দ্র-হেমা মালিনী ও জিতেন্দ্রর বাস্তব জীবনের ত্রিভুজ প্রেমের গল্প হার মানবে যে কোনো হিন্দি সিনেমাকেই!

ধর্মেন্দ্রকে বিয়ে করে আজ সুখের সংসার এককালের ড্রিম গার্ল হেমা মালিনীর। কিন্তু একসময় আরেকটু হলেই তিনি হয়ে যেতেন জিতেন্দ্রর ঘরণী! সেসময় প্রেমিক ধর্মেন্দ্র না এলে হয়তো আজ এশা দেওলের পরিবর্তে তুষার কাপুরের মা হতেন হেমা!

ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে তখন গভীর প্রেম চলছিল হেমার। অথচ ধর্মেন্দ্র ততদিনে বিবাহিত, দুই সন্তানের বাবাও। হেমার পরিবার তাই চায়নি মেয়ের বিয়ে এমন এক মানুষের সঙ্গে দিতে। তাদের পছন্দ চিলো তখনকার আরেক সুদর্শন নায়ক জিতেন্দ্র।

সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে যাওয়ার পর মাদ্রাজে হেমার বাড়িতে বসে বিয়ের আসর। পাত্রপক্ষ হাজির। কনের সাজে তৈরি ছিলেন হেমা নিজেও। ঠিক এমন সময়ে হাজির হন ধর্মেন্দ্র। তাও আবার মদ্যপ অবস্থায়। হেমার বাবাকে অনুরোধ করেন তার মেয়ের সঙ্গে একবার একান্তে দেখা করার।

হেমার বাবা নাকি ধাক্কা দিয়ে ধর্মেন্দ্রকে বের করে দিতে চেয়েছিলেন। বলেছিলেন, কেন তুমি আমার মেয়ের জীবন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছ না? তুমি এক জন বিবাহিত পুরুষ, তুমি আমার মেয়েকে বিয়ে করতে পার না। এরপরও শেষ পর্যন্ত হেমার বাবা সায় দেন ধর্মেন্দ্রর সঙ্গে তার দেখা করতে দিতে। সেই সুযোগ যথাযথ ভাবেই ব্যবহার করেন ধর্মেন্দ্র। হেমাকে নাকি ধর্মেন্দ্র বলেছিলেন, জীবনে এত বড় ভুল কোরো না।

কাঁদতে কাঁদতে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন হেমা। বিয়েবাড়িতে উপস্থিত সবার কাছে অনুরোধ করেছিলেন, তাকে বিয়ের জন্য আরো ক’দিন সময় দিতে।

সেই সময় নাকি জিতেন্দ্র ও তার পরিবার হেমার কথায় রাজি হননি। তার পরিবারের তরফে বলা হয়েছিল, জিতেন্দ্র এক জন ‘অপশন’ নন। বিয়ে হলে তখনই হবে নয়তো কখনোই না।

বিয়েবাড়িতে হাজির সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন হেমা মালিনীর উত্তরের জন্য। কয়েক মিনিটের মধ্যে হেমা মাথা নাড়িয়ে না বলে দিয়েছিলেন। নিমেষে সেখান থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন জিতেন্দ্র ও তার পরিবার।

অনেক নাটকের পর ১৯৮০ সালের ২ মে হেমা মালা বদল করে নেন বিবাহিত ধর্মেন্দ্রর সঙ্গেই। যা তার পরিবার তো বটেই, অবাক করে দিয়েছিলো ভারতবর্ষকেই। অনেকেই নাকি বিরক্ত হয়ে বলেওছিলেন, এই অসম বিয়ে টিকবে না। কিন্তু কালের স্রোতে এই দম্পতি ৪০ বছর পার করে দিলেন এক ছাদের নিচে।