• শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৬ ১৪৩১

  • || ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সর্বশেষ:
ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু। ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইরানে।

৫৫ হাজার গ্রাহক পাবে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১২ অক্টোবর ২০১৯  

নওগাঁর রাণীনগরের আবাদপুকুরে পল্লী বিদ্যুতের উপ-কেন্দ্রের নির্মাণ শেষ হয়েছে। উপ-কেন্দ্রটির পুরোদমে চালু হলে লো-ভোল্টেজের হাত থেকে রক্ষার পাশাপাশি নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা পাবে ৫৫ হাজার গ্রাহক।

এমন তথ্য জানিয়েছেন নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর রাণীনগর জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) আসাদুজ্জামান।

তিনি জানান, রাণীনগরের আটটি ইউপিতে পল্লী বিদ্যুতের ৫৫ হাজার গ্রাহক রয়েছে। এতো গ্রাহকের বিপরীতে উপজেলার চকমুনু উপ-কেন্দ্র থেকে পুরো রাণীনগর বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এতো বড় উপজেলার কোথাও ঝড়-বৃষ্টির কারণে গাছের ডাল ভেঙে বা কোনো দুর্ঘটনাজনিত সমস্যা দেখা দিলে উপ-কেন্দ্রটি বন্ধ রেখে কাজ করতে হয়। এতে পুরো উপজেলাবাসী ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছাড়া থাকতে হয়। এতে নানা কাজ নিয়ে গ্রাহকদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এছাড়া অধিক দূরত্ব থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে গিয়ে অধিকাংশ সময় লো-ভোল্টেজের সমস্যাসহ অনাকাঙ্ক্ষিত বিদ্যুৎ বিভ্রাটে পড়ে গ্রাহকরা। ফলে ইরি-বোরো মৌসুমে জমিতে পানি সেচসহ নানা ভোগান্তি পোহাতে হয় বিদ্যুৎ চালিত গভীর-অগভীর নলকূপ ও শিল্প প্রতিষ্ঠানকে।

তিনি আরো জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, এই শ্লোগানে উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন করে একটি উপ-কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করায় সেবার মান ভেঙে পড়ে। গ্রাহকদের দোরগোড়ায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে ও সেবার মান উন্নয়নে স্থানীয় এমপি মো. ইসরাফিল আলমের চেষ্টায় রাণীনগর-২ ৩৩/১ কেভি, ১০/১৪ এমভিএ ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন আরো একটি উপ-কেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্প নেয় কর্তৃপক্ষ।

ডিজিএম জানান, জমি কেনার পর ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে উপ-কেন্দ্রটির নির্মাণ শুরু হয়। এতে রাজশাহী ডিভিশনাল প্রজেক্ট -২ (আর আর ডি পি-২) এর আওতায় ব্যয় ধরা হয় প্রায় ১০ কোটি টাকা। ২০১৯ সালের ৩০ জুন নির্মাণ শেষ করে সংশ্লিষ্ঠদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তিন মাস ধরে পরীক্ষামূলক চলে উপ-কেন্দ্রটি। পূর্ণাঙ্গভাবে চালু করতে শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন স্থানীয় এমপি মো. ইসরাফিল আলম। কেন্দ্রটি চালুর পর নিরবিচ্ছন্ন কাঙ্ক্ষিত মানের ভোল্টেজের বিদ্যুৎ সরবরাহ পাবেন গ্রাহকরা। এতে ৫৫ হাজার গ্রাহক ভোগান্তি মুক্ত হবে।