• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

কুড়িগ্রামে দরিদ্রদের জন্য ১০ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বরাদ্দ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২০  

দেশ জুড়ে যখন অঘোষিত লকডাউন। করোনা আতঙ্কে দেশবাসী। শহর ফাঁকা করে সবাই ঘরে আশ্রয় নিয়েছে। সেই অবস্থায় কুড়িগ্রামেও অধিকাংশ মানুষ লকডাউনে সামিল হলেও মানছেন না কিছু মানুষ। অনেকেই অযথা বাইরে ঘোরাঘুরি করছেন। অলিগলিতে চায়ের দোকান ও পান সিগারেটের দোকানে ভীর লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এছাড়াও শহর ও গ্রামাঞ্চলে অবাধে অটোরিক্সা যাতায়াত করছে। সরকার এক সাথে দু’জন চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করলেও মোটর সাইকেল ও রিক্সায় একাধিক মানুষ যাতায়াত করছেন। গ্রাম অঞ্চলে কোনভাবেই ভীরবাট্টা কমানো যাচ্ছে না।

এদিকে করোনা পরিস্থিতির পর কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল প্রায় রোগী শূন্য হয়ে পরেছে। বেশিরভাগ রোগী বাড়িতে চলে গেছে। এখন পর্যন্ত হাসপাতালে করোনা সন্দেহজনক কোন রোগী ভর্তি না হলেও বিদেশ ফেরতদের বাড়িতেই হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত ৩ জনসহ মোট ১০৯জনকে নিজ নিজ বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। মেয়াদ শেষ করেছে ২০৯জন।

করোনা পরিস্থিতিতে হতদরিদ্রদেও সাহাযার্থে জেলা প্রশাসন থেকে ৩৪ মে.টন চাল ও ১০ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জেলার ৯টি উপজেলায় বিতরণ করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে শুধুমাত্র ভুরুঙ্গামারী উপজেলা শনিবার ৪৩০জন হতদরিদ্রদের মাঝে সেটি বিতরণ কাজ শুরু করেছে। ভুরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফিরুজুল ইসলাম জানান, তিনি ৪.৩০০মে.টন চাল ও ১লক্ষ ২৯ হাজার টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন। সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৪৩০টি পরিবারের প্রতিজনকে ১০ কেজি চাল, ৫ কেজি আলু, ২ কেজি মসুর ডাল, ১ কেজি লবন ১ ও ১টি সাবান তালিকা করে বিতরণ করা হচ্ছে।
নাগেশ^রী, ফুলবাড়ী, চিলমারী ও রাজারহাট উপজেলায় রোববার থেকে বিতরণ কার্যক্রম চালাবেন বলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ জানিয়েছে। অপরদিকে ব্রহ্মপূত্র নদদ্বারা বিচ্ছিন্ন রৌমারী উপজেলার কাছে এখনো বরাদ্দ পৌছেনি। রৌমারীর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আল ইমরান জানান, তিনি ২.৬মে.টন চাল ও ৭৮ হাজার টাকা বরাদ্দ পেয়েছেন। এদিকে যোগাযোগ না হওয়ায় নাগেশ^রী ও চর রাজিবপুর উপজেলার তথ্য পাওয়া যায়নি। 

জেলা প্রশাসক মো: রেজাউল করিম জানান, হতদরিদ্রদের কথা চিন্তা করে উপজেলাগুলোতে ১০ লাখ ২০ হাজার টাকা ও ৩৪ মে.টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।