• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

রংপুরে পৌনে ৩ লাখ পরিবার ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে 

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৫ মে ২০২০  

রংপুর জেলায় করোনা মহামারিতে এখন পর্যন্ত ২ লাখ ৭৭ হাজার ৭৩৫ পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে।

গতকাল সোমবার (৪ মে) দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান রংপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) আসিব আহসান। 

এ সময় রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন বিভাগীয় কমিশনার কে এম তারিকুল ইসলাম, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ছাফিয়া খানম ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজু।


তিনি বলেন, রংপুর জেলার সব সংসদ সদস্য ও স্থানীয় সরকারের সকল জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে কর্মহীন ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর তালিকা করে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সিটি করপোরেশন, আটটি উপজেলা এবং তিনটি পৌরসভা এলাকায় ২ লাখ ৭৭ হাজার ৭৩৫ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। এখনো পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত রয়েছে, যা ধাপে ধাপে বিতরণ করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক আরও জানান, ওএমএসের চাল বিক্রি, টিসিবির পণ্য বিক্রিসহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ বিভাগ, র্যাব, আনসার ব্যাটালিয়ান এবং অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নিয়ে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

এছাড়াও জেলার বড় বড় বাজারগুলোকে স্বাভাবিকভাবে ছোট ছোট একাধিক বাজারে পুনর্বিন্যাস করে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে খাদ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখা হয়েছে। দ্রব্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ ও মজুতদারি রোধে সার্বক্ষণিক কঠোর নজরদারি অব্যাহত রাখা হয়েছে বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানান জেলা প্রশাসক।

তিনি জানান, মিঠাপুকুরে একজন মুচি ২০ হাজার টাকা প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করেছেন। একই সাথে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা তার সম্মানি ভাতা ১২ হাজার টাকা এবং এক স্কুলছাত্র মাটির ব্যাংকে সঞ্চয় করা ৪ হাজার ৩৩৫ হাজার টাকা জমা দিয়েছে।

কৃষি উৎপাদন, পরিবহন, বিপণন অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, হাওর অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে রংপুর জেলা থেকে ২ হাজার ৯২৭ জন ধান কাটা কৃষি শ্রমিক পাঠানো হয়েছে। আগামী ১০ মের পর থেকে রংপুর জেলায় বোরো ধান কাটা শুরু হবে। প্রতিকূল আবহাওয়ার সম্মুখীন না হলে ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে।

ডিসি বলেন, রংপুর জেলায় করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ১৫ এপ্রিল লকডাউন করা হয়। জেলার প্রবেশমুখসহ বিভিন্ন সীমান্তে ২৩টি চেকপোস্ট এবং মেট্রোপলিটন এলাকাতে ১৭টি পুলিশি চেকপোস্ট বসিয়ে সার্বক্ষণিক কঠোর নজরদারি অব্যাহত রাখা হয়েছে। বর্তমানের রংপুরে করোনা আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে আশি বছরের এক বৃদ্ধসহ চারজন সুস্থ হয়েছেন। বাকিরাও সুস্থতার পথে রয়েছেন।

সোমবার সকাল ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে রংপুর বিভাগের জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেন।