• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

এসআই আকবরের দেশত্যাগ রোধে হিলি সীমান্তে সতর্কতা জারি

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৭ অক্টোবর ২০২০  

পুলিশি নির্যাতনে রায়হান হত্যায় অভিযুক্ত এসআই আকবর যেন কোনোভাবেই দিনাজপুরের হিলি সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালাতে না পারেন সেজন্য সীমান্তে বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
শনিবার জয়পুরহাট-২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফেরদৌস হাসান টিটো এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিজিবি কর্মকর্তা ফেরদৌস হাসান টিটো বলেন, শুধু ওই এসআই আকবরের জন্য নয়, আমরা সীমান্তে সবসময় সতর্কাবস্থায় থাকি; যেন কোনোক্রমেই সীমান্ত দিয়ে কোনো ধরনের অবৈধ পারাপার না হয়। আমরা সীমান্তে ২৪ ঘণ্টা কাজ করে থাকি। কেউ এই পথ ব্যবহার করে ভারতে যেতে বা ভারত থেকে বাংলাদেশে আসতে পারবে না। 

এদিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট কর্তৃপক্ষ জানায়, করোনার কারণে যেহেতু হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দু’দেশের মাঝে যাত্রী পারাপার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তাই এই পথ ব্যবহার করে কারো ভারতে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

উল্লেখ্য, রায়হান উদ্দিন নামের ওই যুবককে বন্দরবাজার থানা পুলিশ গত শনিবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে আটক করে। ওই দিন রাতে ফাঁড়িতে তার ওপর নির্যাতন চালায় পুলিশ এবং তাকে ছেড়ে দেয়ার জন্য টাকা দাবি করে। ভোরে অপরিচিত একটি মোবাইল থেকে ছেলের ফোন পায় রায়হানের বাবা। তাতে ওই ফাঁড়িতে তাকে আটকে রেখে ছেড়ে দেয়ার জন্য টাকা দাবি করা হচ্ছে বলে জানায় রায়হান।

বাবাকে টাকা নিয়ে এসে তাকে উদ্ধারের অনুরোধও করে রায়হান। ছেলেকে বাঁচাতে ভোরে তার বাবা টাকা নিয়ে ওই ফাঁড়িতে গেলে তাকে জানানো হয় রায়হান এখন ঘুমাচ্ছে, সকাল ১০টার দিকে আসতে হবে। পরে সকাল ১০টা দিকে গেল তাকে বলা হয় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে যেতে। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন তার ছেলে মারা গেছে। এরপর মৃত ছেলের শরীরে নির্যাতনের ভয়াবহ চিহ্ন দেখতে পান তিনি। রায়হানের হাতের নখগুলোও উপড়ানো ছিল। পুলিশ এরপর দাবি করে রায়হানকে ছিনতাইকারী সন্দেহ করে জনতা গণপিটুনি দেয়ায় তার মৃত্যু হয়েছে।

তবে সিটি কর্পোরেশনের ফুটেজে এর কোনো প্রমাণ মেলেনি। রোববার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। বিকেলে ৩টার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। এশার নামাজের পর জানাজা শেষে তার মরদেহ পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। রায়হানকে পুলিশ হেফাজতে অমানবিক নির্যাতনের ঘটনাটি রোববার থেকেই গণমাধ্যমে আলোচিত হচ্ছে। এ ঘটনায় সিলেট কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি। মামলা দায়েরের পর এর তদন্তভার দেয়া হয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই)।