• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবসে রংপুর সিটি প্রেসক্লাবের আলোচনাসভা

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০২১  

ঐতিহাসিক ২৮ মার্চ রংপুরবাসীর কাছে অবিস্মরণীয় দিন। ২৬ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর মাত্র একদিন পরই রংপুরবাসী ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও করে যে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল, সেই পথ ধরেই সূচিত হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের সশস্ত্র  সংগ্রাম। স্বাধীনতাপ্রিয় প্রতিবাদী রংপুরবাসী ৭১'র ওই দিনে লাঠিসোঁটা, তীর-ধনুক নিয়ে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও করে জন্ম দিয়েছিল এক অনন্য ইতিহাসের।

দিনটি পালনের অংশ হিসেবে গতকাল রবিবার (২৮ মার্চ) সন্ধ্যায় রংপুর সিটি প্রেসক্লাব আলোচনাসভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সুমী গ্রুপ ও সামাজিক সংঘঠন বাংলার চোখ'র চেয়ারম্যান আলহাজ মো. তানবীর হোসেন আশরাফী। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন সেরা করদাতা ও রয়্যালটি মেগামল-এর চেয়ারম্যান আলহাজ মো. তোহিদ হোসেন।

সিটি প্রেসক্লাব সভাপতি স্বপন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিবসটির ওপর আলোচনায় অংশ নেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির মানিক, সিনিয়র সহ-সভাপতি শাকিল আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাফিজার রহমান বাবলু প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৮ মার্চ রংপুরের মানুষ জেগে উঠেছিল এক নবচেতনায়। স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ মানুষ রংপুরের বিভিন্ন অঞ্চল হতে লাঠিসোঁটা, তীর-ধনুক, বল্লম নিয়ে রংপুর ক্যান্টনমেন্ট আক্রমণ করে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে বাঁশের লাঠি আর তীর-ধনুক নিয়ে পাকিস্তানি হায়েনাদের আবাসস্থল ক্যান্টনমেন্ট আক্রমণের ঘটনা ইতিহাসে বিরল। এমনি এক ঘটনাই সেদিন ঘটিয়েছিলেন রংপুরের বীর জনতা। তবে ওই ঘটনায় ৫০০ থেকে ৬০০ মুক্তিকামী মানুষ শহীদ হন। জাতীয়ভাবে তাঁদের ত্যাগের স্বীকৃতি দাবি করেন বক্তারা।