• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

‘প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর পেয়ে আর কোনো কষ্টই থাকলো না’

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩০ মার্চ ২০২১  

‘পলিথিনে ঘেরা ঝুঁপড়ি ঘরে থাকতাম। বৃষ্টির রাতে ঘুমও হতো না। কষ্টের এ জীবনে পাকা ঘরে থাকতে পারবো স্বপ্নেও ভাবিনি। সেই পাকা ঘরের সঙ্গে পানির ব্যবস্থা করায় আর কোনো কষ্টই থাকলো না। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আদিতমারী ইউএনও মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিনকে আল্লাহ যেন দীর্ঘ জীবন দান করেন।’

বর্তমান সরকারের জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের পাশে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে কথা গুলো বলেন সুফল ভোগী লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর তালুক হরিদাস গ্রামের শিল্পী বেগম।

জমি আছে ঘর নেই এমন দুস্থ পরিবারকে সারাদেশে একটি করে ঘর উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী। টিনের ছাউনী দেয়া প্রতিটি পাকা ঘর নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় এক লাখ ২০ হাজার টাকা। এক কক্ষ বিশিষ্ট এ ঘরের পাশেই দেয়া হয়েছে স্বাস্থ্য সম্মত একটি পায়খানা। এ প্রকল্পের আওতায় আদিতমারী উপজেলায় ৫০টি দুস্থ পরিবারকে একটি করে ঘর উপহার দেয়া হয়। যার নির্মাণ কাজ শেষ করে সুফল ভোগীদের কাছে হস্তান্তর করেন উপজেলা প্রশাসন।  

প্রধানমন্ত্রীর উপহার প্রাপ্ত এসব উপকারভোগীদের পানি সংকটের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ইউএনও তাদেরকে একটি করে টিউবয়েল দিয়ে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেন।

উপজেলা প্রশাসনের গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বেঁচে যাওয়া অর্থ ও নিজস্ব তহবিল থেকে বরাদ্ধ দিয়ে ঘর পাওয়া প্রতিটি পরিবারকে একটি করে টিউবয়েল প্রদান করা হয়। টিউবঅয়েলই শুধু নয়, প্রতিটি টিউবঅয়েলের গোড়া পাকা করে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করেন ইউএনও মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন। ঘরের সঙ্গে সুপেয় পানির ব্যবস্থা সারা দেশের মধ্যে এটি একটি ব্যাতিক্রমী উদ্যোগ। সরকারি বরাদ্ধের অতিরিক্ত সুপেয় পানির ব্যবস্থা পেয়ে বেশ খুশি উপকারভোগীরা।

মহিষখোচার আসিদা বেগম বলেন, স্বামীর মৃত্যুর পর সন্তানদের নিয়ে নিদারুন কষ্টে কাটিয়েছি। এখন সরকারি ঘর ও পানির ব্যবস্থা করায় আর কোনো কষ্ট থাকলো না। ঘর ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা পেয়ে তিনিও প্রধানমন্ত্রী ও ইউএনও'র প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

ইউএনও মুহাম্মদ মনসুর উদ্দিন বলেন, জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পের আওতায় আমরা ৫০টি দুস্থ পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বরাদ্ধ থেকে স্বাস্থ্য সম্মত পায়খানাসহ একটি করে পাকা ঘর নির্মাণ করে দিয়েছি। সুফলভোগী পরিবারগুলো সুপেয় পানির অভাবে দুর্ভোগে পড়েছিলেন। তাদের দুর্ভোগ লাঘবে ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।