শৈত্যপ্রবাহে চরম দুর্ভোগে খেটে-খাওয়া মানুষ
– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারি ২০২৩
মাঘের হাঁড় কাঁপানো ঠান্ডায় কাঁপছে কুড়িগ্রামের মানুষ। টানা মৃদু শৈত্য প্রবাহের পর জেলাজুড়ে বইছে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ। বুধবার সকালে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ মৌসুমে এটি জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড বলে জানিয়েছে রাজারহাট আবহাওয়া অফিস কর্তৃপক্ষ।
নিম্নগামী তাপমাত্রা ও হিম বাতাসের কারণে চরম বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী, খেটে-খাওয়া, ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষজন।
সকাল থেকে সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে রিকশাচালক, ভ্যানচালক, ঘোড়ার গাড়িচালক, দিনমজুরসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষকে কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে ভোগান্তি নিয়ে জীবিকা নির্বাহের জন্য ছুটতে দেখা গেছে।
জেলা সদরের ধরলা সেতু এলাকায় ফুচকা বিক্রি করেন রফিকুল ইসলাম (৬৫)। ফুচকা বিক্রি করেই তিনি পরিবারের ভরণপোষণ বহন করেন। কিন্তু কয়েক দিনের কনকনে ঠান্ডার কারণে তার ব্যবসায় ভাটা পড়েছে।
রফিকুল ইসলাম ডেইলি বলেন, ধরলা সেতুর পূর্ব পাশে আমার ফুচকার দোকান। কিন্তু কয়েক দিন ধরে কনকনে ঠান্ডার কারণে ব্যবসা করতে সমস্যা হচ্ছে। এছাড়া ঠান্ডায় সেতু এলাকায় দর্শনার্থী সমাগম না হওয়ায় তিন ধরে ফুচকা বিক্রি বন্ধ থাকায় পরিবারের খাদ্যের যোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছি।
ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে সাইকেলে ঠেলে জেলা শহরের শহিদ জিয়া বাজারে সবজি বিক্রি করতে যাচ্ছেন পাঁচগাছির নওয়াবস এলাকার কৃষক সফিকুল ইসলাম (৬৫)।
সফিকুল ইসলাম বলেন, দুই-তিন ধরে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডার কারণে সবজি বিক্রি করতে বাজারে যেতে পারি না। ঠান্ডায় ক্রেতা সংকটের কারণে সবজি বিক্রি করে লোকসান গুনতে হয়।
এদিকে কনকনে ঠান্ডা ও হিমেল হওয়ায় চরম দুর্ভোগে রয়েছেন ছিন্নমূল মানুষসহ জেলার চরাঞ্চলে বসবাসকারী কয়েক লাখ মানুষ। গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। এসব অধিকাংশ মানুষই নিম্ন আয়ের হওয়ায় অনেকেরই নেই শীতবস্ত্র কেনার সামর্থ্য। ফলে তারা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। ঠান্ডার কারণে অনেক মানুষ কাজে বের হতে না পারায় পরিবার নিয়ে কষ্টে রয়েছেন।
চারদিন ধরে ধরলার অববাহিকায় খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাচ্ছেন মুন্সীগঞ্জ থেকে জীবিকা নির্বাহের জন্য আসা বেদে সম্প্রদায়ের ৭টি পরিবার। কিন্তু টানা শৈত্য প্রবাহে কনকনে ঠান্ডায় জীবিকা নির্বাহের জন্য বের হতে পারছেন না তারা। শীতবস্ত্র না থাকায় শিশুরা রয়েছে কষ্টে।
এই প্রতিবেদককে দেখে বেদে সম্প্রদায়ের আমিরুলের ছেলে তাহমিন (৪) বলেন, আমাদের ঠান্ডার কাপড় নেই। আমাদের ঠান্ডার কাপড় দেন।
একই সম্প্রদায়ের সজীব (২৮) বলেন, ব্যবসা করতে আমরা মুন্সীগঞ্জ থেকে এখানে এসেছি। কিন্তু আমাদের শীতের কাপড় না থাকায় কাজে বের হতে পারছি না। এর ফলে না খেয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে।
তাপমাত্রা দীর্ঘ সময় নিম্নগামী থাকায় ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। শীতজনিত রোগ থেকে রেহাই পাচ্ছেন না বৃদ্ধরাও।
কুড়িগ্রাম ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১২টি বেডের বিপরীতে চিকিৎসা নেয়া ৩৮ জনের মধ্যে ৩৩ জনই শিশু। এদিকে শিশু ওয়ার্ডে ৪৮টি বেডের বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছে ৬২ জন শিশু, এছাড়াও সাধারণ ওয়ার্ডে ৭৮টি বেডের বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছে প্রায় দ্বিগুন রোগী। প্রতিদিন হাসপাতালের বর্হিবিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে অন্তত; ১৮শ’ থেকে ১৫শ’ রোগী। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে বেড়েছে রোগীর চাপ।
কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাহিনুর রহমান শিপন জানান, শীতের শুরু থেকেই হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়ে গেছে। তবে আমরা এই রোগীর চাপ সামাল দিয়ে চিকিৎসাসেবা চালিয়ে যাচ্ছি।
কুড়িগ্রাম কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া বলেন, আজ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এ মৌসুমে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ জানান, কুড়িগ্রামে শীতার্ত মানুষের মাঝে জেলা প্রশাসন থেকে ৩৮ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও নতুন করে আরো ২৫ হাজার কম্বল বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
- নির্বাচনী প্রচারণায় জীবন্ত ঘোড়া আনায় প্রার্থীকে জরিমানা
- মধ্যরাতে পুড়ল ১১ দোকান, যেভাবে লাগে আগুন
- খড়ি শুকাতে গিয়ে প্রাণ গেল গৃহবধূর
- গোসল করে জুমার নামাজ পড়া হলো না মুরাদের
- শিরোপা জেতানোর দুদিন পরই বরখাস্ত হলেন কোচ
- একসঙ্গে ১০ জনকে চুমু, তিক্ত অভিজ্ঞতা জানালেন অ্যান হ্যাথাওয়ে
- জুমার নামাজের আগে দুই খুতবা দেওয়া হয় যেসব কারণে
- বেরোবিতে মাদক সেবনরত অবস্থায় ৪ শিক্ষার্থী আটক
- ৬ জুন বাজেট দেবো, বাস্তবায়নও করবো: প্রধানমন্ত্রী
- সৌদি পৌঁছেছেন ২৪ হাজার হজযাত্রী
- জনগণকে আরো বেশি সেবা দিতে চায় পুলিশ: আইজিপি
- জার্মানিতে বাংলাদেশিদের জন্য দারুণ সুযোগ
- ‘সন্ত্রাস করলেই গ্রেফতার’
- সম্মিলিত চেষ্টায় আত্মহত্যা নিরসন করা সম্ভব: প্রতিমন্ত্রী সিমিন
- গাজায় দীর্ঘমেয়াদে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত হামাস
- রাজশাহীর আম দেখতে আসবে চীনের প্রতিনিধিদল: কৃষিমন্ত্রী
- ঋণখেলাপি বিএনপির সময় বেশি ছিল: আইনমন্ত্রী
- ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আ’লীগ দেশকে এগিয়ে নেবে: প্রধানমন্ত্রী
- নীলফামারীতে প্রচণ্ড গরমে বিপর্যস্ত জনজীবন
- তালের শাঁসের যত স্বাস্থ্য উপকারিতা
- অবসরের ঘোষণা দিলেন সুনীল ছেত্রি
- সিনিয়র না হলে জয়কে থাপড়াতাম: মিষ্টি জান্নাত
- কোরআন-হাদিসে মায়ের অধিকার
- আইসিটি খাতে ২০২৬ সালের মধ্যে নারীর অংশগ্রহণ হবে ২৫ শতাংশ
- কৃষি নিয়ে কৃষকদের তেমন কোনো অভিযোগ নেই: কৃষিমন্ত্রী
- ‘সরকার-নাগরিক পার্টনারশিপ হলে নগরের সমস্যা দূর হবে’
- আস্থা পুনঃস্থাপনের লক্ষ্যেই এই সফর: ডোনাল্ড লু
- জুলাইয়ে শুরু হচ্ছে বিডিএসের ডিজিটাল ম্যাপ তৈরি: ভূমিমন্ত্রী
- ১৫৭ উপজেলায় তিনদিন মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ
- ৪৮ ঘণ্টার তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি
- শিরোপা জেতানোর দুদিন পরই বরখাস্ত হলেন কোচ
- এসএসসির ফলপ্রকাশ: ডোমারে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২শত ৫৭ জন
- জয়সওয়ালের শতকে সপ্তম জয় রাজস্থানের
- দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেলের অবৈধ প্রদর্শন বন্ধে কার্যক্রম শুরু
- মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
- রংপুরে সংবর্ধনায় সিক্ত ব্যরিস্টার আনিকা তাসনিয়া
- বড় দুঃসংবাদ নিয়ে আসছে হোয়াটসঅ্যাপ
- নির্বাচন গ্রহণযোগ্য করাই বর্তমান কমিশনের মূল লক্ষ্য: ইসি রাশেদা
- আজ স্বজনদের চোখের পানিতে বরণ হবে বাংলাদেশের ২৩ নাবিক
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ৫ কূটনৈতিক দলিল সই
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- গোল্ডেন না পাওয়ায় পৃথিবীকে বিদায় জানাল রাফসান
- কারিগরির সনদগুলো কারা কিনেছেন বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
- আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ২ কর্মীকে জরিমানা
- বিভিন্ন যানবাহনে অবৈধ স্টিকার ব্যবহার
- শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এফডিসিতে নিরাপত্তা জোরদার
- শ্রম আইন সংশোধনে প্রস্তুত বাংলাদেশ
- তীব্র দাবদাহে হাসপাতালগুলোকে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ
- ইসরায়েলের হামলার পর প্রধান দুটি বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল শুরু