• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ঈদের আগে সীমিত আকারে শপিংমল খোলার ইঙ্গিত 

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৪ মে ২০২০  

ঈদের আগে যেন সবাই কেনাকাটা করতে পারে সেদিকেও লক্ষ্য রাখছি। যেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সবাই কেনাকাটা করতে পারেন সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।


তিনি বলেন, অফিস-আদালত সীমিত আকারে চালু করে দিচ্ছি, যাতে মানুষের কোনো কষ্ট না হয়।

সোমবার (৪ মে) সকাল ১১টায় রংপুর বিভাগের আট জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, পরবর্তীতে আলাদা আলাদাভাবে কথা বলব। কারণ আমি জানতে চাই বাংলাদেশের কোথায় কে কীভাবে আছে। আমরা জানি যে এই অবস্থায় আমাদের এগিয়ে যেতে হচ্ছে। দেশটা সুরক্ষিত করা দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এই ভাইরাসের কারণে দেশের মানুষ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া এটাই হচ্ছে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। যেহেতু সংক্রামক রোগ হাঁচি-কাশির মাধ্যমে সংক্রামিত হয়। যেহেতু রোজার মাস আমরা বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছি। ধীরে ধীরে আমরা কিছু কিছু জিনিস উন্মুক্ত করে দিচ্ছি। সেখানে সবাইকে নিজেকে সুরক্ষিত করতে হবে। আবার অপরকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাজেই আমাদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে যে সমস্ত নির্দেশনা যাচ্ছে সেগুলো অবশ্যই মেনে চলবেন। ব্যবসা বাণিজ্য থমকে গিয়েছিল ইতোমধ্যে ছুটি ঘোষণা করেছি। সাথে সাথে যেহেতু রমজান মাস এই রমজান মাসে যাতে কেনাবেচা চলতে পারে। তার জন্য দোকানপাট খোলা বা রোজার সময় ইফতারি কেনা বা সেহেরি করা বা রোজার মাসে বাজারহাট করা সেগুলো যাতে চলতে পারে সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি রেখে সেগুলো খোলারও চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছি। জেলাভিত্তিক ক্ষুদ্র শিল্প সেগুলো তারা চালাতে পারবেন সেভাবে নির্দেশনা দিয়েছি। অর্থনীতি গতিশীল রাখতে তার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেবে

তিনি বলেন, যারা ধনী দেশ, অগাধ সম্পদ তারাও করোনাভাইরাসের কাছে ব্যর্থ। একটা শক্তিশালী ভাইরাসের কাছে কোনো কিছুই কাজে লাগছে না। ধন-সম্পদ অর্থ কোনো কিছুই কাজে লাগছে না। ধনী-গরিব সবাই একাকার হয়ে যাচ্ছেন। আমাদের দেশের মানুষের যেন কোনো ক্ষতি না হয় সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিজেকে বাঁচাতে সব সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। রমজান মাসে যেন কেনাকাটা করতে পারে এজন্য দোকানপাট খোলা ও চালু রাখার নির্দেশ দিয়েছি। প্রতিটি জেলায় ছোট-খাটো শিল্প চালু রাখাসহ মানুষকে সুরক্ষিত রেখে অর্থনীতিকে চালু রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে অর্থনীতি থমকে দাঁড়িয়েছে। এর একটা প্রভাব বাংলাদেশেও পড়বে। আন্তর্জাতিক সংস্থা এই অবস্থাটাকে বৈশ্বিক মহামারি হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। উন্নত সমৃদ্ধ দেশে গড়ার পথে পদক্ষেপ নিয়েছিলাম। হঠাৎ একটা আঘাত আসল। সারাবিশ্বব্যাপী যেহেতু আসছে। স্বাভাবিকভাবে আমাদেরকেও এ অবস্থা মোকাবিলা করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে।