• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

দুই দিনে ছাড়া পেল ৫৫৫ জন বন্দি

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৪ মে ২০২০  

করোনাভাইরাসের কারণে উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় তিন ধাপে ২ হাজার ৮৮৪ বন্দি মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর অংশ হিসেবে শনি ও রোববার ৫৫৫ বন্দি ছাড়া পেয়েছেন। চলতি সপ্তাহেই বাকিরাও মুক্তি পেতে যাচ্ছেন। কারগারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

 এ বিষয়ে কারা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম মোস্তফা কামাল পাশা বলেন, তিন ধাপে সাজাপ্রাপ্ত প্রায় তিন হাজার বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। তাদের সবার লঘুদণ্ড হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে তাদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। 

কারা অধিদপ্তরের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, করোনাভাইরাসের কারণে একাধিক দেশ এরই মধ্যে কারাগার থেকে অনেক বন্দি মুক্তি দিয়েছে। বাংলাদেশও কারাগারগুলোর চাপ কমাতে চায়। সম্প্রতি সারাদেশের ৬৮টি কারগারে লঘুদণ্ড পাওয়া বন্দির তালিকা তৈরি করে কারা অধিদপ্তর। ২ হাজার ৮৮৪ জনের ওই তালিকা থেকে শনিবার ১৭০ জনকে মুক্তি দেওয়া হয়। আর রোববার আরও মুক্তি দেওয়া হয় ৩৮৫ জনকে। 

কারা কর্তৃপক্ষ বলছে, যাদের সর্বোচ্চ এক বছর সাজা হয়েছিল তাদের মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। তালিকা করা বন্দীদের ছয় মাস থেকে এক বছর, তিন মাস থেকে ছয় মাস এবং শূন্য থেকে তিন মাস- এই তিনটি ভাগে ভাগ করে মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।

কারা অধিদপ্তেরর অপর একজন কর্মকর্তা জানান, যারা মুক্তি পাচ্ছেন তাদের কেউ এক মাস আবার কেউ ৯ মাস জেল খেটেছেন। শিশু অপহরণ, ধর্ষণ বা হত্যার মতো গুরুতর অপরাধের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কেউ মুক্তি পাচ্ছেন না। বিচারাধীন কোনো মামলার আসামিকেও মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না।

দেশে ৬৮টি কারাগারে ৯০ হাজারের মতো বন্দি রয়েছে, যা কারাগারগুলোর ধারণক্ষমতার কয়েকগুণ বেশি। কোভিড-১৯ অতিমাত্রায় ছোঁয়াচে বলে কারাগারগুলোতে ঝুঁকির মাত্রা থাকে অনেক বেশি। নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারের স্টাফ কোয়ার্টারে থেকে বিভিন্ন হাসপাতালে বন্দিদের ডিউটি করা ১২ জন কারারক্ষী এরই মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। 

নতুন কোনো বন্দি কারাগারে আনা হলে তাকে ১৪ দিন আলাদা রাখা হয়। তারপর অন্য বন্দিদের সঙ্গে থাকতে দেওয়া হয়। বন্দিদের মধ্যে কারো জ্বর-কাশি হলেই তাদের আলাদা রাখার নির্দেশ রয়েছে।  

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কারাবন্দি ও কারাগারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সাবান, হ্যান্ডওয়াশ বা স্যানিটাইজার ব্যবহার ছাড়া কেউ কারাগারে ঢুকতে পারছেন না। শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা কারার জন্য ইনফ্রারেড থার্মোমিটার ব্যবহার করা হচ্ছে।