• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

`ভারতের প্রধানমন্ত্রী এসে এই আয়োজনকে মহিমান্বিত করেছেন`

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ মার্চ ২০২১  

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারত সবসময় বাংলাদেশের পাশে আছে। সবচেয়ে বড় কথা, ভারতের প্রতিটি রাজনৈতিক দল, দলমত নির্বিশেষে ভারতের জনগণ একটি বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হয় সেটি হলো বাংলাদেশ। তারা সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকে। তাই ভারত শুধু আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী বন্ধুরাষ্ট্রই নয়, তাদের সঙ্গে আমাদের ঐতিহাসিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ভৌগলিক সেতুবন্ধন রয়েছে। দুই দেশের সরকার ও জনগণ ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে ১০ দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শেষ দিন আজ শুক্রবার রাজধানীর প্যারেড স্কয়ারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ-ভারত মিত্র বাহিনীর যৌথ অভিযানের মধ্য দিয়ে ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। এ যুদ্ধে ভারতের এক উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সৈন্য শহীদ হয়েছেন। আমি তাদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের জনগণের যে আত্মত্যাগ, সাহায্য-সহযোগিতা তা কখনও ভুলবার নয়। আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে সে অবদানের কথা স্মরণ করি।

তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে ভারতের জনগণ ও সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট আমার পিতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আমরা দু’বোন জার্মানিতে থাকায় বেঁচে যাই। আমাদের দেশে ফিরতে বাধা দিলে আমরা আশ্রয়হীন হয়ে পড়ি। আমার পরিবার ও আমার ছোট বোন শেখ রেহানাকে ভারত সরকার আশ্রয় দেয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমি আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদান সবসময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। আজকের এই অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এই আয়োজনকে মহিমান্বিত করেছেন। বাংলাদেশের সরকার, জনগণ, আমার ছোট বোন শেখ রেহানা ও আমার পক্ষ থেকে আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও ভারতবাসীকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, ভারতের সঙ্গে বর্তমানে আমাদের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। আমরা ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীজীর ‘প্রতিবেশী সর্বাগ্রে’ নীতির প্রশংসা করি। বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে করোনাভাইরাসের টিকা পাঠানোর মাধ্যমে মোদীজীর এ নীতিরই প্রতিফলন ঘটেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান মঞ্চে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে ও প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী ও প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।