• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ঢাকা-জলপাইগুড়ি ‘মিতালী এক্সপ্রেস’ ট্রেনের উদ্বোধন বিকালে

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৭ মার্চ ২০২১  

ঢাকা থেকে ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি জংশন পর্যন্ত যাত্রীবাহী ট্রেন ‘মিতালী এক্সপ্রেসের’ উদ্বোধন করা হবে বিকালে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ট্রেনের নাম নির্ধারণ করেছেন।

শনিবার ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনটির উদ্বোধন করা হবে। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ‌্যমে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উপস্থিতি থাকবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশন প্রান্তে রেলমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন উপস্থিত থাকবেন।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি রুটে ট্রেনটি সপ্তাহে দুইদিন চলাচল করবে। প্রতি সপ্তাহের সোমবার এবং বৃহস্পতিবার ট্রেনটি ঢাকা থেকে নিউ জলপাইগুড়ির উদ্দেশে ছেড়ে যাবে। অপরদিকে ভারত থেকে রবিবার ও বুধবার ছাড়ার কথা রয়েছে।

ট্রেনটির সবগুলো কামরা হবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। মিতালীতে ভ্রমণের জন্য যাত্রীদের সব ধরনের করসহ এসি বার্থে জনপ্রতি তিন হাজার ৭৪০ টাকা, সিটে দুই হাজার ৮০৫ টাকা এবং চেয়ারে এক হাজার ৮৭০ টাকা ভাড়া দিতে হবে। আপাতত ভারতের দেওয়া ১০টি ব্রডগেজ কোচে চলবে এটি। নতুন বগি আমদানির পর বাংলাদেশের বগি ও ইঞ্জিনে চলবে মিতালী।

ঢাকা থেকে জলপাইগুড়ির দূরত্ব রেলপথে ৫৯৫ কিলোমিটার। বাংলাদেশ অংশে পড়েছে ৫২৬ কিলোমিটার। বাকি ৬৯ কিলোমিটার ভারত অংশে। ট্রেন থেকে আয় ভাগাভাগির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে ভারতকে। দূরত্ব অনুপাতে ভাড়ার ৮৫ ভাগ বাংলাদেশ এবং বাকি ১৫ ভাগ ভারত পাবে।

মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনেও দূরত্ব অনুসারে আয় বণ্টন হয়। এই পথের দূরত্ব ৫৩৮ কিলোমিটার। বাংলাদেশে পড়েছে ৪১৮ কিলোমিটার। বাকিটা ভারতে। আয়ের ৭৫ শতাংশ পায় বাংলাদেশ। ভারত পাচ্ছে ২৫ শতাংশ।

২০০৮ সালের ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষে প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেস চালু হয়েছিল ঢাকা ও কলকাতার মধ্যে। ২০১৭ সালের ৯ নভেম্বর দ্বিতীয় রেল সেবা ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ চালু হয় খুলনা ও কলকাতার সঙ্গে।

ঢাকা-জলপাইগুড়ি ট্রেন চলাচল শুরু করতে গত বছর বাংলাদেশের চিলাহাটি থেকে ভারতের হলদিবাড়ী পর্যন্ত রেলপথ পুনর্নির্মাণ করা হয়। এই পথে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ট্রেন চলাচল ছিল। ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধের পর এ রুটে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়। গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর পণ্যবাহী ওয়াগন চলাচলের মাধ্যমে রেল যোগাযোগ ৫৫ বছর পর চালু হয়।