• মঙ্গলবার ১৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ৩০ ১৪৩১

  • || ০৫ জ্বিলকদ ১৪৪৫

নিরাপত্তাহীনতায় বুড়িমারী স্থলবন্দর, ঠেকানো যাচ্ছে না চুরি

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ নভেম্বর ২০২১  

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলায় অবস্থিত বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত এলাকায় মালামাল রাখার ক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিয়েছে। প্রায়ই বন্দর এলাকা ও ইয়ার্ড থেকে চুরি হচ্ছে আমদানি করা মালামাল। এতে আমদানিকারক ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা এবং চুরি ঠেকানো না গেলে এ বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা ব্যবসা গুটিয়ে নিতে পারে বলে শঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।

একাধিক আমদানিকারকের দাবি, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রাণাধীন ১১.১৫ একর এলাকার মধ্যে ৩টি পণ্য রাখার শেড রয়েছে। শেড ও বন্দর এলাকার মধ্যে ভারত, ভুটান থেকে আনা চাল, ভুট্টা, খৈল, গমের গাড়ি খালাস করা হয়। খালাস করার সময় ও পণ্য বাংলাদেশি গাড়িতে বোঝাই করার সময় প্রকাশ্যে মালামালের বস্তা নিয়ে যায় বহিরাগত লোকজন। বাধা দিতে গেলে উল্টো মারপিটের শিকার হন ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিরা।

বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) সরেজমিনে বন্দর ঘুরে দেখা গেছে, বন্দর এলাকার চার দিকে প্রায় ১২ ফুট উঁচু দেয়াল। রাতে লাইট জ্বালিয়ে উজ্জ্বল করে রাখা হয়েছে। প্রবেশ ও বের হওয়ার চারটি গেটে পাহারারত বন্দর কর্তৃপক্ষের বেসরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। বন্দরে প্রতিদিন প্রায় ৩-৪ শতাধিক পণ্যবাহী গাড়ি পণ্য খালাস ও বোঝাই করা হয়ে থাকে। দিনে-রাতে বহিরাগত বিভিন্ন লোকজনের অবাধ বিচরণ লক্ষ করা গেছে। 

এ ছাড়া বন্দরের মাঠে ঘুরে ঘুরে হকাররা ব্যবসা করছে। কোটি কোটি টাকার পণ্য রাখা বন্দরের এ এলাকাটি পুরো অরক্ষিত। ফলে রোধ করা যাচ্ছে না চুরির ঘটনা। প্রায়ই ঘটছে একাধিক চুরির ঘটনা। ব্যবসায়ীরা বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানালেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না বলে একাধিক ব্যবসায়ী দাবি করেন। বন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বেসরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসংখ্যা বৃদ্ধি ও পুরো বন্দর এলাকা সিসি ক্যামেরায় আনার কথা বলেন ব্যবসায়ীরা।

বুড়িমারী স্থলবন্দরের আলাল গ্রুপের প্রতিনিধি পাপ্পু হোসেন সাংবা‌দিক‌দের বলেন, ‘ভারত থেকে আমাদের গমের গাড়ি আসে। ভারতীয় গাড়ি থেকে গমের বস্তা খালাস করে বাংলাদেশি গাড়িতে তোলার সময় গাড়ির কর্ণার থেকে গমের ৫০ কেজি ওজনের বস্তা লোক নিয়ে চলে যাচ্ছিল। আটকাতে গেলে উল্টো ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এখানে নিরাপত্তায় নিয়োজিত সদস্যদের পাওয়া যায় না। চুরি রোধ না হওয়ার জন্য এখানকার প্রশাসন দায়ী। এভাবে তো ব্যবসা করা সম্ভব না।

বুড়িমারী স্থলবন্দরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত বেসরকারি সদস্যদের প্রধান (সিকিউরিটি ইনচার্জ) মজিবুল ইসলাম বলেন, ‘নিরাপত্তায় নিয়োজিত আমাদের ২২ জন সদস্য আছে। সদস্য বৃদ্ধি করা দরকার। এলাকার স্থানীয় বখাটে কিছু ছেলে/লোক চুরি করে। রাতে দেয়াল টপকে মালামাল নিয়ে যায়। আমরা চোর ধরে চড়-থাপ্পড় দিলে যখন বাইরে যাই আমাদেরকেও উল্টো মারধর করে। এসব ঘটনা বন্দরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।

বুড়িমারী স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) রুহুল আমীন বলেন, ‘আমার কাছে সে রকম কোনো অভিযোগ তো আসছে না। বিচ্ছিন্ন কিছু চুরির ঘটনা ঘটেছে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিয়েছি। চোর ধরে পুলিশকেও দেওয়া হয়েছে। আমাদের পক্ষে যা করা দরকার তা করছি।