• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি: জেনোসাইড ওয়াচসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ   

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সামরিক জান্তার সংঘটিত অপরাধযজ্ঞকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় জেনোসাইড ওয়াচ এবং লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

গতকাল মঙ্গলবার জেনোসাইড ওয়াচ এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. গ্রেগরি এইচ স্টান্টন এবং লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশন এর কো-ফাউন্ডার ও কো-প্রেসিডেন্ট মিজ এলিসা জোডেন-ফোর্জি  এবং মিজ ইরিনে ভিক্টোরিয়া মাসিমিনোর কাছে পাঠানো পৃথক দুটি চিঠির মাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের ধন্যবাদ জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিঠিতে বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী তাদের স্থানীয় দোসরদের সহযোগে পরিকল্পিতভাবে যে ব্যাপক গণহত্যা ও অপরাধ সংঘটন করেছিল, সেটিকে আপনাদের পক্ষ হতে গণহত্যার স্বীকৃতি দিয়ে সমব্যথী হওয়ায় বাংলাদেশের জনগণ সান্ত্বনা খুঁজে পেয়েছে।

চিঠিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ২০১৭ সালের ১১ মার্চ বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে গৃহীত সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে বাংলাদেশে প্রতি বছর ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস পালন করা হচ্ছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘জেনোসাইড কর্নার’ স্থাপন করা হয়েছে।

বাংলাদেশের গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে সরকারের প্রতি জাতীয় সংসদের প্রদত্ত দায়িত্বের কথা চিঠিতে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২৫ মার্চ বাংলাদেশের গণহত্যা দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে জেনোসাইড ওয়াচ এবং লেমকিন ইনস্টিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশনের প্রদত্ত স্বীকৃতি বিশেষ সহায়ক হবে।

জেনোসাইড ওয়াচ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সামরিক জান্তার বাঙালি জনগোষ্ঠীর ওপর সংঘটিত অপরাধযজ্ঞকে গণহত্যা, মানবতা বিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। 

এছাড়া বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীতে লেমকিন ইনস্টিটিটিউট ফর জেনোসাইড প্রিভেনশন মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালি জাতির ওপরে সংঘটিত অপরাধযজ্ঞকে গণহত্যা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছে।

এছাড়া সংস্থা দুটি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যাকে স্বীকৃতি প্রদানের জন্য আহ্বান জানিয়েছে। গণহত্যা বিষয়ক সংস্থাসমূহের স্বীকৃতির ফলে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে অগ্রগতি হবে।