• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

`শহিদ আসাদের আত্মত্যাগ আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের প্রেরণা`  

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০২৩  

`শহিদ আসাদের আত্মত্যাগ আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনের প্রেরণা'          
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শহিদ আসাদের আত্মত্যাগ সবসময় আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে প্রেরণা জোগাবে। 

‘শহিদ আসাদ দিবস’ উপলক্ষ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার দেওয়া এক বাণীতে তিনি বলেন, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে আত্মত্যাগকারী শহিদ আসাদ এ দেশের গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তার আত্মত্যাগ সব সময় আমাদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে প্রেরণা জোগাবে। এ দেশের স্বাধীনতার সংগ্রামে যারা আত্মাহুতি দিয়েছেন, তাদের অবদান আমরা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি এবং শহিদের আত্মত্যাগ বৃথা যাবে না।

শহিদ আসাদ দিবস বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসের একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিন। ১৯৬৯ সালের এদিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের রাস্তায় চলমান মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের ছাত্র মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এভাবে আরো অনেক প্রাণ ঝরে যায় এবং অনেকে আহত হন। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানি শাসকদের বৈষম্যমূলক আচরণ, নির্যাতন এবং দমন-পীড়নে বাংলার মানুষ যখন দিশেহারা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ছয়-দফা তখন বাঙালির মুক্তির দিশারি হিসেবে আবির্ভূত হয়। ছয়-দফা হয়ে ওঠে বাঙালির প্রাণের দাবি।  ছয়-দফার পক্ষে প্রবল জনমতের জোয়ার দেখে আতঙ্কিত সামরিক জান্তা আইয়ুব খান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের করে, যা ‘আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’ নামে সমধিক পরিচিত। বৈষম্য ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ঘোষিত ছয়-দফা আন্দোলনের মাধ্যমে বাঙালি জাতির স্বাধীনতা আন্দোলন নতুন মাত্রা পায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পরিণত হন নিপীড়িত ও নির্যাতিত বাঙালির মুক্তির মূর্ত প্রতীকে। 

কারাগারে আটক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মুক্তির দাবিতে গর্জে উঠে সারাবাংলার মানুষ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৬৯ সালের ২০ জানুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সামনের রাস্তায় ছাত্র-জনতার চলমান মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে আসাদুজ্জামান শহিদ হন এবং অনেকে আহত হন। শহিদ আসাদের এই আত্মত্যাগ চলমান আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করে। স্বাধিকারের দাবিতে সোচ্চার সব শ্রেণি-পেশার মানুষ জেল-জুলুম উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসে। পর্যায়ক্রমে আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর আকার ধারণ করে। সেদিনের সেই আন্দোলন পরবর্তীতে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। পাকিস্তানি স্বৈরসরকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে করা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহারে বাধ্য হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পতন হয় স্বৈরশাসক আইয়ুব খানের। 

প্রধানমন্ত্রী শহিদ আসাদসহ বাঙালির মুক্তির সংগ্রামে আত্মোৎসর্গকারী সব শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।