• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

‘প্রতিটি কাজ স্বচ্ছতার সঙ্গেই করব’                               

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

                  
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সবগুলো নির্বাচন সততার সঙ্গে, আন্তরিকভাবে করেছেন বলে দাবি করেছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান। প্রত্যাশিত সফলতা অর্জন করেছেন দাবি করে তিনি বলেন, আমাদের কাজের মূল্যায়ন সময়ই বলবে।কমিশনের একবছর পূর্তি উপলক্ষে রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) লিখিত প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ দাবি করেন।

আহসান হাবিব খান বলেন, কত সময় পার হলো, প্রথম বছর গেল কিংবা শেষ বছর এলো, এটি আমার কাছে মুখ্য নয়। সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছি, এটা করেই যাবো। প্রতিটি কাজ স্বচ্ছতার সঙ্গেই করবো।

তিনি বলেন, আলাদা কোনো চ্যালেঞ্জ নয়, প্রতিটি নির্বাচন যেভাবে সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য করেছি, একইভাবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনও করবো ইনশাআল্লাহ। প্রধান নির্বাচন কমিশনারও এরই মধ্যে বলেছেন, দেশ-বিদেশে সবার কাছে অবাধ, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, আমরা কঠোর বার্তা দিতে পেরেছি নির্বাচন ব্যবস্থাপনায়। গাইবান্ধা উপ-নির্বাচন অনিয়মের কারণে বন্ধ করে দিয়েছিলাম। সিটি নির্বাচনগুলো সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়েছে। ভোটারদের আস্থা ফিরছে। সামনেও নির্বাচন রয়েছে। সংসদ নির্বাচনেও আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে সুন্দর নির্বাচনের।

এই কমিশনার বলেন, বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ছয় আসনের উপ-নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক না হওয়ায় ও উপ-নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ কম থাকায় ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম হয়েছে। এটি সব নির্বাচনের দৃষ্টান্ত নয়। প্রতিটি নির্বাচনে আমাদের কঠোর মনোভাব, স্বচ্ছতা ও সদিচ্ছার কোনো ঘাটতি ছিল না, আগামীতেও থাকবে না।

দায়িত্ব নেওয়ার পর বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক বিভেদ আর প্রশ্নের মোকাবিলা করতে হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব দলের প্রতি আহ্বান অব্যাহত থাকবে, ভোটে অংশ নিন। কমিশনের একার পক্ষে সব সম্ভব হবে না, সবার সহযোগিতা দরকার।

ইভিএম নিয়ে তিনি বলেন, ইভিএমে সবগুলো নির্বাচন করেছি। সারাদেশেই ইভিএম নিয়ে ভোটারদের আগ্রহ ও সচেতনা তৈরি করতে পেরেছি। অর্থনৈতিক বাস্তবতা ও সবার প্রত্যাশা বিবেচনা করে বড় পরিসরে ইভিএমে ভোট হচ্ছে না। তবে বিদ্যমান সচল ও কার্যক্ষম ইভিএম-এর সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হবে। এ নিয়ে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে বলে মনে করি।