• মঙ্গলবার ২২ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ৬ ১৪৩১

  • || ১৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

শেয়ার-নেট বাংলাদেশ ৮ম এসআরএইচআর নলেজ ফেয়ার অনুষ্ঠিত

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য এবং অধিকার (এসআরএইচআর) সংক্রান্ত ৮ম এসআরএইচআর নলেজ ফেয়ার অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রজনন স্বাস্থ্য ও তরুণদের অধিকার সম্পর্কে তথ্য প্রদানের জন্য একটি মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স সেন্টারে দিনব্যাপী এ ফেয়ারের আয়োজন করে রেড-অরেঞ্জ। সঠিক এসআরএইচআর শিক্ষার ওপর জোর দিয়ে এবারের নলেজ ফেয়ারের শিরোনাম ছিল, ‘এসআরএইচআর অ্যান্ড এডুকেশন: ফর স্মার্ট বাংলাদেশ’।

নলেজ ফেয়ারের স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে শেয়ার-নেট বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত ছিল- এস্পায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) ও সার্বিক নির্দেশনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)।

অনুষ্ঠান শেষে উপস্থাপিত ঘোষণাপত্র অনুযায়ী, একটি সার্বজনীন এসআরএইচআর নীতিমালা গ্রহণ ও প্রণয়নে সবাইকে এখন থেকেই তৎপর হওয়া উচিত, যেন তরুণ ও বয়োঃসন্ধিকালীন সময় থেকেই সঠিক এসআরএইচআর শিক্ষার প্রাপ্তি নিশ্চিত করা যায়। সেই সঙ্গে স্কুলে শিক্ষকের সঙ্গে এবং ঘরে অভিভাবকের সঙ্গে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে শুরুতেই সঠিক কাউন্সেলিং পাওয়া সম্ভব হয়।

সম্মেলনের শুরুতে প্রধান অতিথি কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন বলেন, আমাদের সব স্টেকহোল্ডারদের থেকে সার্বিক সহযোগিতা এবং সরকারি ও বেসরকারি উভয় সংস্থার অংশীদারিত্ব প্রয়োজন। আমরা যেহেতু একটি সুস্থ জাতি গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখছি, তাই আমাদের একসঙ্গে মিলে সমন্বিত সমাধান করার চেষ্টা করা উচিত।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ও রেড-অরেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অর্ণব চক্রবর্তী বলেন, বাল্যবিয়ে ও অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ আমাদের দেশের জন্য একটি বড় সমস্যা। এ সমস্যাগুলো শুধু আইন প্রণয়ন করে এবং স্বাস্থ্য কর্মসূচি দিয়ে সম্বোধন করা অসম্ভব। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরকে এ ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে। 

৮ম এসআরএইচআর নলেজ ফেয়ারের চূড়ান্ত ঘোষণাপত্র পাঠ করার সময় প্রধান গবেষক ও উপস্থাপক ড. হালিদা হানুম আখতার বলেন, বিবাহিত ও অবিবাহিত উভয় কিশোরীদেরই এসআরএইচআর সম্বন্ধে জানা প্রয়োজন। এসআরএইচআর সম্পর্কে অনেক প্রকল্প চালু আছে। তবে যেটি জরুরি তা হলো একটি ঐক্যবদ্ধ শক্তি তৈরি করা।

ঐ ঘোষণায় জাতিসংঘের সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট গোল ৩, ৪ এবং ৫ বাস্তবায়নের জন্য এসআরএইচআর-এর সার্বজনীন প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে মানসম্মত শিক্ষাকে মূল নির্দেশক হিসেবে গ্রহণ করে বিশেষ নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়।

দিনব্যাপী এ সম্মেলনে ৩৫০ জনের বেশি বিশেষজ্ঞ, শিক্ষাবিদ এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার অভিজ্ঞ পেশাজীবীসহ উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এবং অন্যান্য বিদেশি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন। সবাই বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থার সঙ্গে এসআরএইচআর সংক্রান্ত বিষয়বস্তুর সঠিক সন্নিবেশ নিশ্চিত করার জন্য পাঠ্যক্রমের সাম্প্রতিক সংযোজনগুলোকে বিশ্লেষণ এবং সে অনুযায়ী কার্যকর এসআরএইচআর কারিকুলাম প্রণয়নে গুরুত্বারোপ করেন।

পুরো অনুষ্ঠান জুড়েই বিভিন্ন অংশগ্রহণমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গির পাশাপাশি শহুরে এবং গ্রামীণ দৃষ্টিকোণ থেকে সঠিক এসআরএইচআর শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার ওপর আলোকপাত করেন আলোচক এবং গবেষকরা।

অন্যান্য বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষাবিদদের মধ্যে ছিলেন- জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. বেলায়েত হোসেন তালুকদার, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রফেসর ড. একিউএম শফিউল আজম, কো-অরডিনেটর অব শেয়ার-নেট ইন্টারন্যাশনাল ডোরিন থমিসেন, ইউএনএফপিএ-এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ক্রিস্টিন ব্লকহুস, এসআরএইচআর অ্যান্ড জেন্ডারের ফর্মার সেক্রেটারি এলা ডে ভুগদ এবং অ্যাম্বাসি অব দ্য কিংডম অব নেদারল্যান্ড ডেপুটি হেড অব মিশন থাইজ অউডস্ট্রা প্রমুখ।