• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

রোহিঙ্গারা প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করছে, বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ নভেম্বর ২০১৯  

রোহিঙ্গাদের কারণে কক্সবাজারের প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, কক্সবাজার তাদের কারণে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে এবং আমাদের প্রতিবেশ ও জীব-বৈচিত্রের ক্ষতি করছে।

বুধবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে পরিবেশ ও সমুদ্র বিষয়ক দক্ষিণ এশিয়া সহযোগিতা কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। খবর বাসস'র

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অতি শিগগিরই রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা বৈশ্বিক নেতৃত্ব বিশেষত দক্ষিণ এশীয় অংশীদারদের দায়িত্ব। এটা মিয়ানমার ও তার নাগরিক রোহিঙ্গাদের মধ্যকার ইস্যু। তাদেরকেই এর সমাধান করতে হবে।

তিনি বলেন, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় নিরাপদে ও সম্মানের সঙ্গে ফিরিয়ে নেয়াই এ সংকটের একমাত্র সমাধান।

বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলায় বাস্তুচ্যুত ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। এদের অধিকাংশই মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের উপর সেনাবাহিনীর হত্যাযজ্ঞের পর ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে পালিয়ে এসেছে। জাতিসংঘ একে ‘জাতিগত নির্মূলের উদাহরণ’ ও অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনগুলো ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি সত্ত্বেও বাংলাদেশ বিগত ১০ বছর ধরে অব্যাহতভাবে উন্নতি করেই যাচ্ছে। আর এই অলৌকিক উন্নয়নের একটি রহস্য রয়েছে। আমি একে ‘বাংলাদেশ সিক্রেট, শেখ হাসিনা মিরাকল’ বলে অভিহিত করি।’

তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশ হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এর জিডিপি’র এক শতাংশের বেশি ব্যয় করছে।

মোমেন বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা (এসডিজিএস) সম্পদের স্বক্ষমতা ও দৃঢ় রাজনৈতিক প্রত্যয়ের উপর নির্ভরশীল। এসএসিইপি আওতায় অনেক ক্ষেত্রেই সহযোগিতা সম্ভব উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এসডিজিএস ও প্যারিস ক্লাইমেট অ্যাগ্রিমেন্ট এর সফল বাস্তবায়নের জন্য আমাদের সক্রিয় সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়কমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন, উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, ভারতের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী প্রকাশ কেশভ জাভাদেকার, মালদ্বীপের পরিবেশ প্রতিমন্ত্রী আহমেদ মুজতবা ও এসএসিইপি মহাপরিচালক আবাস বশির।