• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

পদ্মাসেতুতে বসল ২৯ তম স্প্যান     

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৪ মে ২০২০  

করোনা আতঙ্কের মধ্যেই মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সোমবার পদ্মাসেতুর ২৯ তম স্প্যান বসেছে। সেতুর ১৯ ও ২০ নম্বর পিলারের উপর ‘ফোর-এ’ নামে এ স্প্যানটি বসানোয় দৃশ্যমান হলো পদ্মাসেতুর ৪ হাজার ৩৫০ মিটার অর্থাৎ প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার।
এর আগে গত ১১ এপ্রিল সেতুর ২৮ তম স্প্যান বসানো হয়।

রোববার সকাল ৮টার দিকে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া কন্সট্রাক্টশন ইয়ার্ড থেকে ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্য তিন হাজার ১৪০ টন ওজনের স্প্যানটি নিয়ে সেতুর নির্ধারিত পিলারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই। পরে ঘণ্টা খানেকের মধ্যে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের পিলারের কাছে নিয়ে স্প্যানটি রাখা হয়।

পদ্মাসেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের এ খবর নিশ্চিত করে জানান, স্প্যান বহনকারী ক্রেনটি ১৯ ও ২০ নম্বর পিলারের কাছে নোঙর করে রাখা হয়েছিল। সোমবার সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটের দিকে স্প্যানটি বসানো হয়।

মার্চ মাস থেকে বিকেলের দিকে নদীর আবহাওয়া খারাপ থাকে। তাই স্প্যান বসানোর জন্য দুইদিন করে সময় ধরা হয়েছে। এই স্প্যানটি বসানোর ফলে সেতুর ৪ হাজার ৩৫০ মিটার দৃশ্যমান হলো।

প্রকৌশলী সূত্রে জানা গেছে, মূল সেতুর ৪১টি স্প্যানের মধ্যে মাওয়ায় এসেছে ৩৯টি। বাকি দুইটি স্প্যান চীনে নির্মাণ করে রাখা হয়েছে। এরইমধ্যে পদ্মাসেতুর ৪২টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। এসব পিলারে ৪১টি স্প্যানের মধ্যে ২৯ তম স্প্যান বসানো হলে বাকি থাকবে ১২টি স্প্যান। এ সিডিউল মেনে স্প্যান বসাতে পারলে আগামী বছরের জুলাই নাগাদ ৪১টি স্প্যান বসানো শেষ হবে।
২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। মূল সেতু নির্মাণের জন্য কাজ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি ও নদী শাসনের কাজ করছে দেশটির আরেকটি প্রতিষ্ঠান সিনো হাইড্রো কর্পোরেশন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো। পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর আগামী বছরই খুলে দেয়া হবে।