• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

হাবিপ্রবির আঙিনায় বসন্তের আগমনী বার্তা

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২  

ফাল্গুনের হাত ধরে আগমন ঘটবে বসন্তের। উত্তরবঙ্গের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) ফুলে ফুলে ভরে উঠা অপরূপ সুন্দর ক্যাম্পাস যেন জানান দিচ্ছে বসন্তের সেই আগমনী বার্তার।

ষড়ঋতুর এই দেশে পাতাঝরা শীতের শেষে প্রকৃতিকে নতুন সবুজের রঙে রাঙিয়ে আসে বসন্ত। আর বাহারি রঙের ফুল গুলো যেন মনোমুগ্ধকর আয়োজনে বরণ করে নেই ঋতুরাজকে। হাবিপ্রবি ক্যাম্পাসেও একই রকম অবস্থাা বিরাজ করছে। যেদিকেই তাকাই  চোখে পড়ে রংবেরঙের ফুল আর লাল ইটের এক দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য। এই মনোরম দৃশ্যকে আরো মায়াবী করে তোলে নবনির্মিত সাদা কমলা রঙের দশতলা একাডেমিক ভবন।

কিছুদিন আগেও শীতে কাপছিলো উত্তরবঙ্গ। শীতের রিক্ততায় ঝরে পরা পত্র-পল্লবে শিশির বিন্দু আর ঘন কুয়াশা বলছিলো শীত যেন শেষ হয়েও হচ্ছে না। এদিকে হাবিপ্রবির আঙিনা যেন প্রস্তুতি নিচ্ছে বসন্তকে বরণ করে নেওয়ার। গাছে গাছে নতুন সবুজ পাতা আর রঙিন ফুল গুলো যেন কোকিলের গান শোনার জন্য বর্ণীল সাজে সেজে বসে আছে। প্রকৃতির এই বসন্ত বরণের প্রস্তুতি দেখতে প্রতিদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা মেলে দর্শনার্থীদের।

হাবিপ্রবির প্রধান ফটক, বোটানিক্যাল গার্ডেন, একাডেমিক ভবন সমূহ, প্রশসনিক ভবন, উপাচার্যের বাসভবন ও হল সমূহ সহ রাস্তার আশেপাশে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছে গাঁদা, সিলভিয়া, দোপাটি, ক্যালেন্ডোলা, ডায়েনথাঁচ, ফ্লক্স, ইন্টাহেরেনিয়াম, ভারবিনা, পিটুনিয়া, মৌচন্ডা, পয়েন্টচেটিয়া, অ্যালমন্ডা, গ্রাডুলাস, ইনকা গাঁদা, চায়না গাঁদা, জাম্বু গাঁদা, মোরগঝুঁটি, কসমস, জুঁই, চামেলি ছাড়াও আছে টগর, বেলি, ক্রিসমাস, জবা, দেবকাঞ্চন, স্থল পদ্ম, গন্ধরাজ, জিনিয়া, পপি, রঙ্গনসহ প্রায় অর্ধশত জাতের ফুল।

ক্যাম্পাসের এই ফুলের মুগ্ধতা নিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের শিক্ষার্থী কেয়া আফরিন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে আসলেই এতো ফুলের সমাহার দেখে মনটা নেচে উঠে। আজ কোন ফুলের ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করবো তা নিয়ে দ্বিধায় পরে যেতে হচ্ছে।

ফুলে ফুলে সুবাসিত, চারদিকে রঙের মেলা এতো আর কিছু নয়, প্রকৃতির সাথে বসন্তের খেলা। তারুণ্যের চঞ্চলতা আর ফুলে ফুলে ভরে উঠা ফুলেল হাবিপ্রবি ক্যাম্পাস যেন সৌন্দর্য আর গন্ধ ছড়িয়ে বলছে “বসন্ত আসছে”।