• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ব্যাংকক নেয়ার প্রক্রিয়া শেষ, ছাড়ছে না ডাক্তার!

নীলফামারি বার্তা

প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০১৮  

চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব আমজাদ হোসেনের উন্নত চিকিৎসার সব ব্যবস্থা সম্পূর্ণ হয়েছে। যে কোন সময় তাকে নেয়া হতে পারে ব্যাংককে। কিন্তু এই মহূর্তে তার শরীরের অবস্থা বিবেচনা করে ব্যাংককের উদ্দেশ্য রওনা হচ্ছেন না পরিবারের সদস্যরা।

এর আগে গেল ১৮ নভেম্বর নিজ বাসায় ব্রেন স্ট্রোক করেন গুনী এ নির্মাতা। সেদিনই তাকে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই লাইফ সাফটে আছেন।

এ খবর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শোনার পর মঙ্গলবার আমজাদ হোসেনের পরিবারের সদস্যদের ঢেকে পাঠান এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। তারপর প্রধানমন্ত্রী আমজাদ হোসেনের চিকিৎসার সব দায়িত্ব নেন।

কিন্তু সব প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হওয়ার পরও কেন ব্যাংককে নেয়া হচ্ছে না সে বিষয়ে আমজাদ হোসেনের বড় ছেলে সাজ্জাত হোসেন দোদুল আজ দুপুরে ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, আব্বার অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু এখান থেকে ব্যাংককে নেয়ার মতো অবস্থা নেই।

‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া এবং ডা. দ্বীন মোহাম্মদও দেখেছেন।’

তিনি বলেন, তারা বলেছেন এই অবস্থায় হাসপাতাল থেকে হেলিপ্টারে করে এয়ারপোর্ট সেখান থেকে ২.৩০ মিনিটে ব্যাংককে নিয়ে যাওয়ার মতো শারীরিক অবস্থা আব্বার নেই। তাই আমরা শুধু ইমোশনাল হয়ে রিস্ক নিতে চাচ্ছি না। তবে আর একটু অবস্থার উন্নতি হলেই আমরা ব্যাংককে নিয়ে যাব। এখন দেশবাসীর কাছে আব্বার জন্য দোয়া চাই।

সাজ্জাদ হোসেন দোদুল বলেন, আব্বার চিকিৎসার সব ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।

আমজাদ হোসেন একজন বিশিষ্ট অভিনেতা, লেখক, অভিনেতা এবং ব্যতিক্রমধর্মী চলচ্চিত্রকার। কর্মজীবনে তিনি নির্মাণ করেছেন ‘সুন্দরী’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘ভাত দে’, ‘দুই পয়সার আলতা’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’র মতো কালজয়ী বেশ কিছু চলচ্চিত্র। কর্মজীবনের স্বীকৃতি হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন এ গুণী নির্মাতা।