• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বাতের ব্যথা বাড়ে যেসব খাবারে

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২৩  

বাতের ব্যথা যাদের নিত্য সঙ্গী, তাদের জন্য আজকের লেখাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের বাতের ব্যথা হয়।

তবে তার চেয়ে কম বয়সেও কারো কারো বাতের ব্যথা দেখা দিতে পারে। সাধারণত হাঁটু, হিপ ও হাতের অস্থিসন্ধিতে এ ব্যথা বেশি হয়। এ ধরনের লক্ষণ দেখা দিলে তা নিয়ন্ত্রণে খাদ্যতালিকায় কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি।

বিষটি নিয়ে বলেছেন, মাস্কুলোস্কেলিটাল ডিজঅর্ডারস বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আলতাফ সরকার।

কিছু খাবার আছে যেগুলো বাতের ব্যথা বাড়িয়ে দেয়। যেমন-

ডিমের কুসুম: ডিমের কুসুমে আছে অ্যারাকিডনিক এসিড। গবেষণায় দেখা গেছে, এই ফ্যাটি এসিড ব্যথা তৈরি করে। সুতরাং যারা অস্থিসন্ধির ব্যথায় ভুগছেন, তারা ডিমের কুসুম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

লাল মাংস: লাল মাংসে আছে কেমিক্যাল পিউরিন নাইট্রাইট, যা প্রদাহ অর্থাৎ ইনফ্লামেশন আরও বাড়িয়ে দেয়। এ ছাড়া আরও আছে টকসিন গ্লাইকেশন। গবেষণায় দেখা গেছে, লাল মাংসে যে গ্লাইকেশন আছে তা ব্যথা তৈরি করে । যখন শরীরে প্রদাহ হয় তখন সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিন নামে এক ধরনের প্রোটিন লিভারে তৈরি হয়। লাল মাংস এই সি-রিঅ্যাকটিভ প্রোটিনের লেভেল বাড়িয়ে দেয়। ফলে ব্যথাজনিত সমস্যা বেড়ে যায়।

মিষ্টিজাতীয় খাবার: চিনিযুক্ত খাবার সব ধরনের অস্থিসন্ধি ও মাংসপেশির ব্যথা বাড়িয়ে দেয়। প্রদাহের প্রধান এজেন্ট হলো সাইটোকাইনস। চিনি সাইটোকাইনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। ফলে ব্যথা বেড়ে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন চিনিজাতীয় খাদ্য অর্থাৎ সোডা, কোমল পানীয় এসব খেলে নারীদের রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।

দুগ্ধজাতীয় খাবার: যাদের প্রদাহ ও কোমর ব্যথা আছে তাদের দুগ্ধজাতীয় খাবার গ্রহণের পর প্রদাহ বেড়ে যায়। ব্যথা বেড়ে যাওয়ার কারণ, দুগ্ধজাতীয় খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। এই প্রোটিন অস্থিসন্ধির আশপাশে যে টিস্যু আছে তা ইরিটেট করে। অ্যালার্জিতে ভোগা রোগীরা দুগ্ধজাতীয় খাবার খেলে প্রদাহ বেড়ে যায়।

কর্ন অয়েল: ভুট্টার তেলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা ৬ ফ্যাটি এসিড, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। দ্য জার্নাল অব নিউট্রিশন ও মেটাবলিজম স্টেটের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বেশি ওমেগা ৬ এসিড গ্রহণে শরীরে প্রদাহ বাড়ে। তবে এটাও ঠিক, খাদ্যতালিকা থেকে ওমেগা ৬ ফ্যাটি এসিড বাদ দেওয়া যাবে না। এ কারণে পরিমিত পরিমাণে গ্রহণ করতে হবে। খাদ্যতালিকায় বেশি বেশি ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যেমন- অলিভ অয়েল।