উদ্বোধনের অপেক্ষায় নীলফামারীতে আঞ্চলিক বাঁশ গবেষণা কেন্দ্র
– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ১৮ জানুয়ারি ২০২০
বাঁশ-বাগানের মাথার উপর চাঁদ উঠেছে ওই, মাগো আমার শোলক-বলা কাজলা দিদি কই?- কবি যতীন্দ্র মোহন বাগচী’র কাজলা দিদি কবিতাটি এখনো মনে করিয়ে দেয় কালের আবর্তে হারানো বাঁশ বাগানের কথা। সেই বাঁশ বাগানের ঐতিহ্য ফেরাতে উত্তরাঞ্চলের নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় স্থাপিত হয়েছে আঞ্চলিক বাঁশ গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। প্রায় ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দেশের প্রথম ওই কেন্দ্রটি এখন উদ্বোধনের অপেক্ষার দিন গুনছে।
আঞ্চলিক ওই গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, কাঠের আসবাবপত্র তৈরীতে বন ধ্বংসের হার ব্যাপক। বনের গাছ বাঁচাতে বাঁশ দিয়ে আসবাবপত্র তৈরী করা হলে গাছ রক্ষা পাবে। একটি বাঁশঝাড়ের ৩০ থেকে ১০০ বছর পর্যন্ত উৎপাদন ক্ষমতা থাকে। বাঁশের তৈরী আসবাবপত্র দর্শণীয় ও পরিবেশ বান্ধব। এর স্থায়িত্ব প্রায় ২৫ বছর, দামও অর্ধেক। একটি সেগুন গাছ পরিপক্ক হতে সময় লাগে অন্তত ৪০ বছর। আর একটি বাঁশ পরিপক্ক হতে সময় লাগে তিন থেকে চার বছর।
আমরা জানি এক সময়ে গ্রামীণ জনপদে বাঁশ বাগানের সংখ্যাও ছিল অধিক। সে সময়ে গৃহস্থালী, কৃষি ও ব্যবসা ক্ষেত্রে বাঁশের তৈরী পণ্যের আধিক্য ছিল। নি¤œ ও মধ্যবিত্তের বাড়ি-ঘর তৈরী হতো বাঁশ দিয়েই। সৌখিন আসবাব পত্র তৈরীর কাজেও বাঁশের ব্যবহার ঘিরে ক্ষুদ্রাকারে গড়ে উঠেছিল শিল্প। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে বাঁশ চাষের সঠিক উদ্ভাবন না পৌঁছায় কমেছে উৎপান। অনেকে নিরুৎসাহিত হয়ে বাঁশ বাগানের জমি এখন ব্যবহার করছেন কৃষিকাজে। বাঁশের এসব ঐতিহ্য ফেরানোর কাজ হাতে নিয়েছে আঞ্চলিক বাঁশ গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি। সহজ ও সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে উৎপাদন ও ব্যহার বাড়িয়ে চাষীদের আর্থিকভাবে লাভবান করা কেন্দ্রটির প্রধান উদ্দেশ্য ।
বাঁশ শিল্প বাঙালি সংস্কৃতির একটি বড় অংশ। একসময় গ্রামের ঘরে ঘরে বাঁশ শিল্পের দেখা মিললেও এখন সেখানে জায়গা করে নিয়েছে প্লাস্টিক পণ্য। প্রয়োজনীয় পুঁজির অভাব, শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি ও উপকরণের মূল্য বৃদ্ধিসহ প্লাস্টিক পণ্যের সহজলভ্যতায় বাঁশ শিল্প আজ বিলুপ্তির পথে। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে গ্রামবাংলার প্রাচীন ঐতিহ্য বাঁশ শিল্পের ঠিকানা এখন জাদুঘরে।
তবে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাঁশের তৈরী জিনিষপত্রের এখনও ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বিভিন্ন হাট-বাজারে এখনও কিছু কিছু বাঁশের তৈরী জিনিষপত্র দেখা যায়। জেলার বিভিন্ন এলাকায় এখনও অনেক পরিবার বাঁশ দিয়ে হাতের তৈরী ডালা, চালা, কুলা, পাখা, মাছ ধরার দোয়ারি, খালুই, পলো, কোচ, জুতি, টুকরি, টোপা, তালাই, ধানের গোলা, ডোল, পাখির নানা আকৃতির খাঁচা, লাঠি, ঝাড়সহ আরো অনেক গৃহকর্মের জিনিসপত্র বানিয়ে তা বিক্রী করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও এ কাজে সামিল হতো। আর হাটবারে স্থানীয় বাজারে এমনকি বাড়ি বাড়ি ফেরি করে এসব বাঁশ-বেতের পণ্য বিক্রি হতো। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে এ শিল্পের মূল উপকরণ বাঁশের মূল্য বৃদ্ধিতে বাঁশ-বেতের কারিগররা তাদের পেশা ধরে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে। ফলে বেকার হয়ে পড়েছে গ্রামীণ বাঁশ-বেতের কারিগররা। অনেকেই আবার এ পেশা ছেড়ে চলে যাচ্ছে অন্য পেশায়।
ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ি ইউনিয়নের বাঁশ-বেতের কারিগর আশরাফ আলী(৬৫) বলেন, একসময় প্রত্যেক বাড়িতেই বাঁশের তৈরি জিনিসপত্রের ব্যবহার ছিল। চাহিদাও ছিল ব্যাপক। বর্তমান প্লাস্টিক পণ্যের সাথে প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে মুখ থুবড়ে পড়ছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ শিল্প।
সূত্র মতে, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে ২০১৬ সালে। প্রায় ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে সমাপ্তের পরিকল্পণা থাকলেও সেটি এখন অপেক্ষায় উদ্বোধনের। রংপুর বিভাগের ৫৮টি উপজেলার আধুনিক পদ্ধত্তিতে বাঁশ চাষের পরিকল্পণা রয়েছে কেন্দ্রটির।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে ৩৩ জাতের বাঁশ রয়েছে। রংপুর অঞ্চলের সাধারত মোথা থেকে বাঁশের চাষ হয়। উন্নত পদ্ধত্তি কঞ্চি কলম থেকে বাঁশ চাষে উৎপাদন বেশী হয়। কৃষকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধিতে কাজ করবে কেন্দ্রটি। পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে ওই বাঁশ থেকে সৌখিন আসবাবপত্র সহ দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের বিভিন্ন উপকরণ তৈরীর প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। বানিজ্যিক উৎপাদনের সেটির দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজার সৃষ্টি করা হবে।
আঞ্চলিক বাঁশ গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র রিসার্স অফিসার আনিসুর রহমান জানান, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত নির্দেশনায় ওই গবেষণা ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছে। কার্যক্রম শুরু হলে এ অঞ্চলের ৩০ থেকে ৪০ গুণ বাঁশের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। প্রক্রিয়া করণের প্রশিক্ষণ প্রদান করে চার থেকে পাঁচ গুণ বাঁশের আয়ু বাড়ানো হবে। তিনি জানান, বর্তমানে ১৪জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করছেন কেন্দ্রটিতে। ডোমার বনবিভাগের পাশে মনোরম পরিবেশে দুই একর জমির উপর নির্মিত প্রতিষ্ঠানটি ২৬জন জনবল নিয়ে শিগগিরই পুরোদমে কার্যক্রম শুরু করতে উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে।
- জানা গেল এসএসসির ফল প্রকাশের তারিখ
- সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করছেন: প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান
- তিউনিসিয়ায় নৌকাডুবিতে মৃত ৮ বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর
- রাণীশংকৈলে ভুট্টাক্ষেত থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
- উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সুন্দরগঞ্জে ২৭ জনের মনোনয়ন দাখিল
- সর্বজনীন পেনশন স্কিম মেলা উপলক্ষে রংপুরে সংবাদ সম্মেলন
- বিভিন্ন দেশে নিষেধাজ্ঞার মুখে ভারতীয় খাদ্যপণ্য
- যে কারণে বিশ্বকাপ দল ঘোষণা করেনি বাংলাদেশ
- ৫৩ বছর বয়সে জীবনসঙ্গী খুঁজছেন মনীষা
- ইসলামের দৃষ্টিতে শ্রমিক মালিকের পরিবারভুক্ত
- `নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে`
- সরকারি গুদামে হয়রানি করা হলে কঠোর ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী
- সংসদ অধিবেশন চলবে ৯ মে পর্যন্ত
- ভারত-বাংলাদেশের আন্তঃসীমান্ত নদীর বন্যার তথ্য আদান-প্রদান শুরু
- কিশোরগঞ্জে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু
- গরমে ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে যা করবেন
- মুস্তাফিজের আইপিএল অভিজ্ঞতা কাজে দেবে: শান্ত
- সাংবাদিক হতে গিয়ে যেভাবে নায়িকা হলেন আনুশকা
- শ্রমিক ঠকানোর ভয়াবহ পরিণতি
- স্বস্তির পরশ ছড়িয়ে রংপুরে ঝরল বৃষ্টি
- হাতপাখায় চলে আজিজুলের সংসার
- বিভিন্ন যানবাহনে অবৈধ স্টিকার ব্যবহার
- শ্রম আইন সংশোধনে প্রস্তুত বাংলাদেশ
- পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে বড় বিনিয়োগের পরিকল্পনা সরকারের
- সরাসরি মুসলিমদের নিশানা করে ভোট প্রচারে মোদি
- জলবায়ু সহনশীলতা অ্যাডভোকেসি জোরদার করবে বাংলাদেশ
- সরকারি অফিস চলবে ‘এআই’ প্রযুক্তিতে
- যুক্তরাষ্ট্রে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রধানমন্ত্রী
- শ্রমিকদের কল্যাণে বিশেষ নজর দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
- শিক্ষকরাই স্মার্ট নাগরিক গড়ার কারিগর: শিল্পমন্ত্রী
- ডিমলায় জুয়া খেলার অপরাধে আটক-২
- ঠাকুরগাঁওয়ে ঈদ-নববর্ষে ১০ জন নিহত, আহত ২ শতাধিক
- রাতেই যেসব অঞ্চলে হতে পারে বজ্রসহ বৃষ্টি
- জয়সওয়ালের শতকে সপ্তম জয় রাজস্থানের
- ফারিণের ‘নিকষ’ অন্ধকার!
- অবৈধ দখলে থাকা খাস জমি চিহ্নিত করতে বললেন ভূমিমন্ত্রী
- মেডিকেল কলেজের ক্লাস অনলাইনে নেয়ার নির্দেশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর
- রংপুরে সংবর্ধনায় সিক্ত ব্যরিস্টার আনিকা তাসনিয়া
- ভারতকে বিশ্বকাপ জেতানো কোচকে নিয়োগ দিচ্ছে পাকিস্তান
- ঈদে সৈয়দপুর-ঢাকা আকাশপথে বাড়তি ফ্লাইট
- রোহিঙ্গা সমাধানে নিউজিল্যান্ডকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান
- আইকনিক লিডার এখন কুন্তলা চৌধুরী
- আইপিএলের মাঝপথে হঠাৎ দেশে ফিরলেন মুস্তাফিজ
- ব্যাংককের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করলেন প্রধানমন্ত্রী
- বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড ৫ কূটনৈতিক দলিল সই
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি
- কারিগরির সনদগুলো কারা কিনেছেন বের করা হবে: ডিবিপ্রধান
- শিল্পী সমিতির নির্বাচনে এফডিসিতে নিরাপত্তা জোরদার
- বিভিন্ন যানবাহনে অবৈধ স্টিকার ব্যবহার
- পুত্রবধূকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, শ্বশুর-শাশুড়ি গ্রেপ্তার