• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৬ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

সৈয়দপুরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফায়ারম্যান গ্রেফতার

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২০  

নীলফামারীর সৈয়দপুরে অষ্টম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের ফায়ারম্যান আবু সাঈদ ওরফে সবুজ (৩২)। 


সৈয়দপুর থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে রবিবার(১৮ অক্টোবর/২০২০) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে নীলফামারী জেলা কারাগাড়ে প্রেরন করে। আসামী সবুজ সৈয়দপুর উপজেলার পূর্ব বোতলাগাড়ি গ্রামের ওয়াপদা নতুন হাটে মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে। সে রংপুরের তারাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে ফায়ারম্যান হিসেবে কর্মরত। 


মামলার সূত্র মতে, নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের উত্তর সোনাখুলি গ্রামের তোবারক আলীর মেয়ে গোলাহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। ওই পরিবারের সঙ্গে পূর্ব পরিচয় ছিল আবু সাঈদ ওরফে সবুজের। সবুজ বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক। 


গত শুক্রবার (১৬ অক্টোবর/২০২০) ওই স্কুল ছাত্রী নীলফামারীর ঢেলাপীর গ্রামের পুলপাড়াস্থ বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বড় বোন নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে শ্রমিকের কাজ করে ও দুলাভাই অটোচালক। দুইজনে বাহিরে থাকায় ঘটনার দিন গতকাল শনিবার(১৭ অক্টোবর/২০২০) তারা বাইরে থাকার সুযোগে বিকালে ফায়ার সার্ভিসের ফায়ারম্যান আবু সাঈদ ওরফে সবুজ ওই বাড়িতে যায়। এ সময় স্কুল ছাত্রীকে একা পেয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। মেয়েটি কান্নাকাটি করায় তাকে বিয়ে করার আশ্বাস দেয়। এ অবস্থায় ওই দিন সন্ধ্যায় বড়বোন ইপিজেড থেকে বাড়ি ফিরলে মেয়েটি তাকে ঘটনাটি জানিয়ে দেয়।

এ সময় ধর্ষক ওই বাড়ির ঘরেই অবস্থান করছিল। পরে মেয়েটির বড় বোন সু-কৌশলে এলাকার লোকজন ডেকে সবুজকে আটক করে পুলিশের জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করে। পরে সৈয়দপুর থানা পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থলে গিয়ে সবুজকে আটক করে থানায় নেয়। এ ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে সৈয়দপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।  


তবে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ফায়ার সার্ভিসের ফায়ারম্যান আবু সাঈদ ওরফে সবুজের স্ত্রী শিউলি বেগম সাংবাদিকদের বলেন, পূর্বের পরিচিতি থাকার সুবাদে বিপদ-আপদে আমরা তাদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করতাম। আমার স্বামীকে মোবাইলে ডেকে নিয়ে পুর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার স্বামীকে মেয়েটিকে বিয়ে করতে বলে। আমার স্বামী বিয়েতে রাজি না হওয়ায় তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে দাবি করেন শিউলি বেগম। তিনি এর সঠিক তদন্তও দাবি করেন। 
 সৈয়দপুর থানার ওসি আবুল হাসনাত খান জানান, মেয়েটির বাবা নিজে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। ভিকটিমকে আজ রবিবার দুপুরে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ডাক্তারী পরীক্ষা করা হয়। পাশপাশি আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে।