• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

ডোমারে পেটব্যথা নিয়ে ক্লিনিকে, রিপোর্টে এলো ‘অন্তঃসত্ত্বা’

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০২৩  

         
নীলফামারীর ডোমারে ১৩ বছরের এক কিশোরীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ভুল প্রতিবেদন দেওয়ার অভিযোগে ডোমার জেনারেল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠান মালিকের কাছ থেকে ২২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ১২টার দিকে উপজেলা মাঠ সংলগ্ন ডিবি রোডে ওই ক্লিনিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে রায় দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপি।

এর আগে সোমবার (১২ জুন) ওই ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ১৩ বছরের এক কিশোরীর অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ভুল প্রতিবেদন দেওয়ার অভিযোগে ক্লিনিকটি অবরোধ করেন ভুক্তভোগী কিশোরীর স্বজন ও স্থানীয়রা। একইসঙ্গে ওই ক্লিনিক বন্ধের দাবি তোলেন তারা। এছাড়াও এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন তারা।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল ফেরদৌস হ্যাপি বলেন, অভিযোগ ও নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার অংশ হিসেবে ক্লিনিকটি সাময়িক বন্ধ ঘোষণা ও ২২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। তবে বেশ কিছু শর্ত ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে দেওয়া হয়েছে। সেই শর্তগুলো পূরণের পর অনুমতি সাপেক্ষে পুনরায় তারা ক্লিনিকটি চালু করতে পারবে।

এদিকে, এ ঘটনায় একটি তদন্তে কমিটি গঠন করেছে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। এই কমিটির প্রধান করা হয়েছে, ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. নাহিদা তাসনিম হিমিকে। অন্য সদস্যরা হলেন, মেডিকেল কর্মকর্তা ডা. কামরুল ইসলাম, স্যানিটারি পরিদর্শক আলামিন রহমান ও নার্সিং ইনচার্জ আকলিমা আক্তার। দায়িত্ব পেয়েই বুধবার (১৪ জুন) বিকেলে ডোমার জেনারেল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করেছে চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত দল।

এ বিষয়ে ডা. নাহিদা তাসনিম হিমি বলেন, আমরা তদন্ত করেছি। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রায়হান বারী ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, কমিটির প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গত রোববার (১১ জুন) বিকেলে পেটে ব্যথা নিয়ে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যায় ১৩ বছরের কিশোরী। পেট ব্যথার ফলে ক্লিনিকে আলট্রাসনোগ্রাফি ও ইউরিন পরীক্ষা করায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে কিশোরীকে গর্ভবতী দেখানো হয়। তবে পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হলে তারা আরও দুটি ক্লিনিকে আলট্রাসনোগ্রাফি করেন। সেখানে রিপোর্ট স্বাভাবিক আসে। এতে ক্ষোভে সোমবার ওই ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার অবরোধ করে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের দাবি জানান স্বজন ও স্থানীয়রা