• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে, খুলে দেওয়া হলো ৪৪ জলকপাট

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৫ আগস্ট ২০২৩  

উজানের ঢলে পানি বৃদ্ধি পেয়ে তিস্তার পানি আবারো বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটারের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের সবগুলো (৪৪টি) জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ফলে জেলার ৫ উপজেলার নদী তীরবর্তী বাসিন্দারা আবারো বন্যার আশঙ্কা করছেন।

শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে তিস্তা ব্যারেজের দোয়ানী পয়েন্টে তিস্তার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ২৬ সেন্টিমিটার, (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) যা বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটারের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এর আগে দুপুর ১২টায় তিস্তা ব্যারেজপয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটারের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদীর তীরবর্তী এলাকা ও নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। এতে জেলার ৫ উপজেলার নদী তীরবর্তী ৩-৪ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম বলেন, দুপুর ১২টায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৩ সেন্টিমিটারের ওপর দিয়ে প্রবাহিত ছিল যা বিকেল ৩টার দিকে বিপৎসীমার ১১ সেন্টিমিটারের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করছে। এতে করে নদীরপাড়ের মানুষ বন্যার আশঙ্কা করছেন।

এদিকে, পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সদর উপজেলার রাজপুর, খুনিয়াগাছ বাগডোরা, আদিতমারী উপজেলার খুনিয়াগাছ, কালমাটি ও হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না গড্ডিমারি এলাকায় আবারো বন্যা দেখা দিতে পারে।

গড্ডিমারির ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন, ‘সকাল থেকে তিস্তার পানি বেড়েই চলেছে। বিপৎসীমার ওপর দিয়ে তিস্তার পানি প্রবাহিত হওয়ায় অত্র এলাকার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যেতে শুরু করেছে’।

গড্ডিমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক শ্যামল বলেন, ‘অত্র ইউনিয়নের ছয়টি ওয়ার্ড তিস্তা নদীরপাড়ে অবস্থিত। তিস্তার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অত্র এলাকায় বন্যা দেখা দেয়। নদীরপাড়ের মানুষের সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে’।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদ্দৌলা বলেন, আগামী ২-৩ দিনে উজানে ভারী বৃষ্টিপাত কিছুটা কমতে পারে। আবার বৃষ্টিপাত বেশি হলে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার আরো ছাড়িয়ে যেতে পারে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যা বলেন, বন্যা মোকাবেলায় আমাদের সব রকম ব্যবস্থা নেয়া আছে। তিস্তাপাড়ের মানুষকে সতর্ক করার পাশাপাশি সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত আছি।