• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

সুপারি গাছ কাটার প্রতিবাদ করায় কৃষক হত্যা, প্রধান আসামি গ্রেফতার

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০২৩  

 
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে সুপারি গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে কৃষককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার অভিযুক্ত প্রধান আসামী অমল চন্দ্র রায় ভেকুকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। শনিবার(১৪ অক্টোবর) রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী ইউনিয়নের ফোটামাটি গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। অমল চন্দ্র রায় ভেকু কিশোরগঞ্জের দক্ষিণ বাহাগিলী ন্যাতরার বাজার এলাকার তেলেঙ্গা রায়ের ছেলে।

গতকাল রোববার(১৫ অক্টোবর) সকালে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান র‍্যাব-১৩ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১ অক্টোবর কিশোরগঞ্জের দক্ষিণ বাহাগিলী গ্রামে সুপারি গাছ কেটে ক্যানেল তৈরিকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিরোধে ওই এলাকার মৃত বিষেশ্বের রায়ের ছেলে দরিদ্র কৃষক সুধীরচন্দ্র রায়কে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। ঘটনাটি নীলফামারী জেলায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে র‍্যাব হত্যা রহস্য উদঘাটনে ও আসামি গ্রেফতারে ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামী অমল চন্দ্র রায় ভেকুকে রংপুরের গঙ্গাচড়ার নোহালী ইউনিয়নের ফোটামাটি গ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাব আরও জানায়, আসামী অমল চন্দ্র রায় ভেকু এতোদিন তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে পালিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী র‍্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের সাথে তার সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছে। ধৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সুধীরচন্দ্রের বাড়ির সীমানায় লাগানো সুপারি গাছ কেটে দেয় তেলেঙ্গা ও তার লোকজন। প্রতিবাদ করায় ১ অক্টোবর সকালে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। সেদিন রাতে ন্যাতরার বাজার থেকে সুধীরচন্দ্র বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন তার ওপর হামলা চালান। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রাতেই একই এলাকার রাজেন্দ্র রায়ের ছেলে তেলেঙ্গা রায় ও তার স্ত্রী মিনতি রানী রায়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে এ ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে নিহতের ছেলে বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন।