• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

নীলফামারীতে পাকেনি ধান,চাষিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ মে ২০২৪  

নীলফামারী জেলায় কৃষকের ধান এখনও পাকেনি। কোথাও ধানের থোর এসেছে, কোথাও কলা পাকার মতো হয়েছে আবার কোথাও আধাপাকা হয়েছে। কাটার মতো হয়নি ইরি-বোরো ধান। এরই মধ্যে আবহাওয়া অফিস ঝড়-বৃষ্টির আভাস দিয়েছে। ফলে জেলার কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে। শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন তারা।

এবার প্রচণ্ড দাবদাহ ও খরার কারণে সেভাবে সেচ দিতে পারেননি জেলার কৃষকরা। টানা খরার কবলে ইরি-বোরোর আবাদ করতে কৃষকদের খরচ বেড়েছে সেচে। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় অনেক কষ্টে ক্ষেত বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন তারা। তারপরও অনেক জায়গায় ইরি-বোরো ক্ষেত পুড়ে গেছে। এমন অবস্থায় ইরি-বোরো এবারে চিটা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।

নীলফামারী ডিমলা উপজেলার কৃষক নুর কাদের বলেন, এ বছরের মতো খরা কোনোবার দেখেননি তিনি। প্রতিদিনই ইরি-বোরো জমিতে সেচ দিতে হয়েছে। তারপরও পানি ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। রেশনিং পদ্ধতিতে সেচ মালিকরা পানি দিয়েও কুলাতে পারেননি। এ বছর ফলন কম হবে এমনটি বলেছেন তিনি।

নীলফামারী সদর উপজেলার পলাশবাড়ি গ্রামের কৃষক নজিবুল ইসলাম বলেন, এবারের টানা খরায় সেচ ও কীটনাশক দিয়েও খুব একটা কাজ হয়নি। ফসলের অবস্থা খুবই খারাপ। ইরি-বোরো ধান এখন আধাপাকা আছে। এসব ধান ১০/-১৫ দিনের মধ্যে কাটার উপযোগী হবে। 

ধানে ফুল আসার জন্য সর্বোচ্চ সহনীয় তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম বলেন, নীলফামারীর সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ৪০ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এ অবস্থায় ঝড় বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে বলে শঙ্কা চাষিদের।

নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. এস এম আবু বকর সাইফুল ইসলাম জানান, এ বছর নীলফামারী জেলায় ৮১ হাজার ৮৫৭ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে। এবারের প্রচণ্ড দাবদাহ ও বৃষ্টির অভাব ছিল ইরি-বোরো ক্ষেতে। তাপ পরিস্থিতি বিবেচনায় আগামীতেও এমন প্রাকৃতিক বৈকল্য বাড়বে। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গবেষণা জরুরি বলে মনে করছেন জেলার এই কৃষি কর্মকর্তা। প্রচণ্ড তাপের কারণে কৃষকের ফসল যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য তাদেরকে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তারা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।