• মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৪ ১৪৩১

  • || ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বিএনপির সহায়তা বাংলাদেশকে বাদ দিয়ে ইউরোপে কেন? 

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৫ মে ২০২০  

যুক্তরাজ্যে বিএনপির উদ্যোগে চলছে সহায়তা কার্যক্রম। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে এই কার্যক্রম পরিচালনার সংবাদ দেশের গণমাধ্যমে প্রচার হবার পর অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, 'তবে কী ইউরোপের রাজনৈতিক দল হয়ে গেলো বিএনপি?'


জানা যায়, কভিড-১৯-এর চিকিৎসায় নিবেদিত ডাক্তার, নার্স ও অন্য কর্মকর্তাসহ ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস বা এনএইচএস কর্মীদের প্রতি সম্মান ও সহমর্মিতা জানিয়ে তাদেরকে উপহার হিসাবে খাদ্যসামগ্রী হস্তান্তর করছে। পর্যায়ক্রমে যুক্তরাষ্ট্রের সকল হাসপাতালে এই সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলে জানান যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পারভেজ মল্লিক। কিন্তু বাংলাদেশ জুড়ে খাদ্য সহায়তা বা চিকিৎসা সহায়তা দেয়ার জন্য বিএনপির নেই কোন কর্ম পরিকল্পনা। এখন পর্যন্ত রাজধানীর ১-২টি স্থানে স্বল্প কিছু ত্রাণ দিয়েই শেষ হয়েছে তাদের মহামারী মোকাবেলা কার্যক্রম!

এদিকে চীন থেকে বিএনপিকে পাঠানো মাস্ক নিয়ে শুরু হয়েছে আরেক নাটক। গত ২২ এপ্রিল চীনের কমিউনিস্ট পার্টি বিএনপিকে করোনা মহামারীতে সহায়তা প্রদানের জন্য ১০ হাজার ফেস মাস্ক প্রদান করে। সেখান থেকে ৫ হাজার মাস্ক চুরি হয়ে যায় বলে জানায় এক নেতা। এর পরিপ্রেক্ষিতে সেই মাস্ক উদ্ধারের কথাও জানান বিএনপি মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কিন্তু এই মাস্ক কোথায় বণ্টন করা হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

এদিকে মহামারী মোকাবেলায় দেশের ক্ষুদ্র সংগঠন এবং দলগুলো প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের কাছে ছুটে যাচ্ছে খাদ্য সহায়তা বা চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে। ব্যক্তি উদ্যোগেও চলছে এমন সহায়তা কার্যক্রম। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে বিএনপিকে দেখা যাচ্ছে না কোথাও। সারা দেশে বিএনপি'র স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা চেয়ারম্যানদের বিক্ষিপ্ত কিছু ত্রাণ প্রদানের খবর পাওয়া গেলেও সেগুলো দলের কেন্দ্রীয় নির্দেশে নয় বরং ব্যক্তি উদ্যোগে প্রদান করা হয়েছে বলে স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে কতজনকে বিএনপির পক্ষ থেকে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে সে সম্পর্কে কোন তালিকা প্রদান করে সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা না করলেও পার্টি অফিস থেকে সরকার এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমালোচনার দীর্ঘ তালিকা বেশ কয়েকবার সংবাদ সম্মেলনে প্রদান করেছেন বিএনপির মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী।

এদিকে যুক্তরাজ্যে তারেক রহমানের নির্দেশে ও অর্থায়নে সহায়তা কার্যক্রম পরিচালনা করায় নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে তার আয়ের উৎস নিয়ে। এর আগে গত বছর সেপ্টেম্বরে তারেক রহমানের আয়কর রিটার্নের তথ্য থেকে জানা যায়, তার আয়ের একটি উৎস ক্যাসিনো অর্থাৎ ভদ্র জগতের জুয়া খেলা।

এ ছাড়াও বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচারে সচেতনভাবে অংশ নেয়ার অপরাধেও উচ্চ আদালতে সাজা প্রদান করা হয় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে। অবৈধ সম্পদ অর্জন, মানি লন্ডারিং, গ্রেনেড হামলা, রাষ্ট্রদ্রোহসহ মোট ৬টি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে পলাতক আসামি তারেক রহমান। বিএনপির মত একটি দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশে ভূমিকা রাখতে আরো একবার ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন তিনি। এই মহামারী চলাকালীন সময়ে দলের জন্য কোন দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা প্রদান না করা তার আরেকটি বড় ব্যর্থতা হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।