• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

নিষ্ক্রিয় বিএনপির বুদ্ধিজীবীরা: পরামর্শ ছাড়াই চলছে কার্যক্রম

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১০ আগস্ট ২০২০  

দলীয় ক্ষমতা যখন খালেদা জিয়া থেকে তারেক রহমানের হাতে চলে যায় তখন থেকেই নিষ্ক্রিয় হতে শুরু করেন বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীরা। অবমূল্যায়ন আর পরামর্শ না শোনায় বিএনপি থেকে দিনদিন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন তারা। ফলে বুদ্ধিজীবীদের পরামর্শ ছাড়াই চলছে বিএনপির সব কার্যক্রম।

সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, মূলত খালেদা জিয়া কারাগারে যাওয়ার পর থেকেই বিএনপিতে বুদ্ধিজীবীদের মূল্যায়ন কমতে থাকে। খালেদা জিয়ার অবর্তমানে তারেক রহমানের হাতে যখন চলে যায় দলের ক্ষমতা, তখন থেকেই নিষ্ক্রিয় হতে থাকেন দলের বুদ্ধিজীবীরা। 

বিএনপিতে তারেক অনুসারীরা মনে করেন, খালেদা জিয়াপন্থী বুদ্ধিজীবীরা সব সময় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কথা বলেন। তাই বর্তমানে বিএনপিতে এখন আর তাদের প্রয়োজন নেই। আর তারেক রহমানও ব্যক্তিগতভাবে চান না তারা দলের মধ্যে কোনোভাবে নাক গলাক।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের এক নেতা বলেন, যেদিন থেকে খালেদা জিয়া কারাগারে সেদিন থেকেই তারেক রহমান তার মতো করে দল গোছাতে শুরু করেছেন। তিনি কারো পরামর্শ শুনতে রাজি নন। নিজে যেটা ভালো মনে করেন সেটাই করেন। ফলে বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবীরাও দিনদিন নিজেদের গুটিয়ে নিচ্ছেন। কেননা তারা তারেক রহমানকে কোনো পরামর্শ দেবেন না। তারা আগে খালেদা জিয়াকে বিভিন্ন পরামর্শ দিতেন।

তিনি বলেন, যেসব বুদ্ধিজীবী সবসময় তারেকের বিরুদ্ধে কথা বলতেন, সেই তারেক এখন দলের মূল নেতৃত্বে। এমন পরিস্থিতিতে তারা কীভাবে বিএনপির বুদ্ধিজীবী হিসেবে কাজ করবেন?

এ বিষয়ে একাধিক বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, আমরা অপাত্রে বুদ্ধি বা পরামর্শ কিছুই দিতে চাই না। আর দিলেও সেটা কোনো কাজে আসবে না।

তারা বলেন, আমরা যারা বিএনপিতে বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত। তারা সবাই বিভিন্ন প্রয়োজনে খালেদা জিয়াকে পরামর্শ দিয়ে আসতাম। কিন্তু সেই খালেদাই এখন রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়। তাহলে বুদ্ধি দেবো কাকে?

জানা গেছে, বিএনপিতে বুদ্ধিজীবী হিসেবে কাজ করতেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, ড. শফিক রেহমান, কলামিস্ট ফরহাদ মজহার, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য ইউসুফ হায়দার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক তাজমেরী এস এ ইসলাম, অধ্যাপক বোরহানউদ্দিন খান, কবি আবদুল হাই শিকদার প্রমুখ। তারা সবাই এখন নিষ্ক্রিয় তালিকায়।