• সোমবার ২০ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৫ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

অকার্যকর বিএনপির স্থায়ী কমিটি 

– নীলফামারি বার্তা নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৯ মার্চ ২০২১  

কাগজে-কলমে বিদ্যমান থাকলেও নিষ্ক্রিয় ভূমিকায় রয়েছে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটি। দলে দৃশ্যমান কোনো ভূমিকা না থাকায় কমিটিকে একবাক্যে ‘অকার্যকর’ বলেই অভিহিত করছেন বিশেষজ্ঞরা।
নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্যমতে, নিজেদের ভুল ও সাংগঠনিক দুর্বলতায় দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে রয়েছে বিএনপি। দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত হয়ে দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়। দলের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পলাতক হয়ে লন্ডনে অবস্থান করে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে মনোনয়ন বাণিজ্যে লিপ্ত রয়েছেন। দলে নেতাদের মধ্যকার অনৈক্য-দ্বন্দ্বে জাতীয় স্থায়ী কমিটি অকার্যকরে পরিণত হয়েছে।

সূত্র জানায়, দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামটি কেবল নিয়মিত ভার্চুয়াল বৈঠক করে থাকে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। বর্তমানে ১৯ সদস্যের এ কমিটিতে শূন্য রয়েছে পাঁচটি পদ। এর মধ্যে দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের মধ্যে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও তরিকুল ইসলামের মতো নেতারা মারা গেছেন। আরেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা মাহবুবুর রহমানও রয়েছেন দলীয় সাংগঠনিক কার্যক্রমের বাইরে। এছাড়া ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার ও ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ারা বয়োজ্যেষ্ঠ হয়ে যাওয়ায় তারা চাইলে সক্রিয় হতে পারছেন না। আবার অনেকেই শারীরিক অসুস্থতা ও বিদেশে অবস্থানজনিত কারণে বৈঠকে অনুপস্থিত থাকেন। এর ফলে গুরুত্বের সঙ্গে জাতীয় ইস্যুগুলোতে নিজেদের কর্মতৎপরতা দেখাতে ব্যর্থ দলটি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন দলীয় জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, আমাদের নিজেদের ভেতরেই রয়েছে বিশাল গলদ। তাই বাইরের বা অপরের দোষ খুঁজে লাভ কী? জাতীয় স্থায়ী কমিটির কয়জন মাঠে থাকেন? তারা সবাই কী দায়িত্ব পালনে সক্ষম? আর তারা কতটাইবা নিবেদিত প্রাণ? যদি নিবেদিত প্রাণই না হন, তাহলে দল কী আশা করতে পারে? আরেকটা কথা সবারই মনে রাখা দরকার, বর্তমানে আমরা ক্ষমতায় নেই। এমতাবস্থায় যদি দলের সর্বোচ্চ সাংগঠনিক কমিটির এমন রুগ্ন দশা হয়, তবে দলের ভবিষ্যৎ কী হবে তা ভাবুন।

এ বিষয়ে দেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের বর্তমান প্রতিচ্ছবি ব্যর্থতার প্রতীক। এতে দলটির ভবিষ্যৎ অন্ধকারে পতিত হওয়ার লক্ষণ স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে।